লক্ষ্মীপুরে জমে উঠেছে ঈদ বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি। প্রতিটি মার্কেটে উপচেপড়া ভিড়। স্যানিটাইজার ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রীর কোন ব্যবস্থা নেই বল্লেই চলে।
সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বাধ্যবাধকতা থাকলেও কারও মাঝে নেই কোন সচেতনতা। এতে করে করোনা সংক্রমন বাড়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের ৫টি উপজেলা ও চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকাসহ জেলা শহরের পৌর বিপনী বিতান, পৌর সুপার মার্কেট. মসজিদ মার্কেট, আউট লুক, মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট, বুটিক হাউজ,জিয়া শপিং কমপ্লেক্স,রামগঞ্জ নিউমার্কেট, সিটি প্লাজা, নূুর প্লাজা, গাজীকমপ্লেক্স, সোহাগ, সুচয়ন ও অঙ্গশোভাসহ প্রত্যেকটি মার্কেটে দেখা গেছে উপছে পড়া ভিড়।
কেউ মানছেনা স্বাস্থ্যবিধি। যে যার মত করে মার্কেট ও শপিংমল বেচা-কিনা করছে। এ দিকে ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, লিঠন, রাশেদ আলম, ও জিয়াউর রহমানসহ অনেকেই জানান, ঈদ বাজার আগের চেয়ে জমে উঠেছে।
বিক্রিও অনেক ভালো। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিষ্ঠান চালানোর কথা বললেও বাস্তবে তার চিত্র উল্টো। আবার অনেক ব্যবসায়ী ক্রেতাদের দায়ী করে বলছেন, বারবার স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে বললেও ক্রেতারা তা মানছেনা বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতা নুর নাহার,আমেনা বেগম ও ইউসুফ হোসেন জানান, সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান-পাট খোলা রাখার নির্দেশনা দিলেও কোন ব্যবসায়ী তা মানছেনা।
বেশিরভাগ মার্কেটে নেই স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। যে যার মত করে চলাফিরা ও বেচা-কিনা করছে। কেউ মানছেনা লকডাউনের নিয়ম কানুন। প্রতিটি মার্কেটে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে বললেও তার নূনতম মানা হচ্ছেনা।
এতে করে করোনা সংক্রমন আরো বাড়ার আশংকা করছেন ক্রেতারা। জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোসেন আকন্দ ও পুলিশ সুপার ড.এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, লকডাউন ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন।
মাকের্টগুলো যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে সেদিকে প্রশাসনের নজর রয়েছে। যারা স্বাস্থ্যবিধি ও বা লকডাউন মানবেনা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। এটি অব্যাহত রাখার ঘোষনা দেন এ দুই কর্মকর্তা।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত