চিতলমারী উপজেলার ৭নং সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের দরিউমাজুড়ী গ্রামের সুষময় মজুমদারের বাড়িতে সিঁধ কেটে ভয়াবহ চুরির ঘটনা ঘটেছে৷ ৫ই মে বুধবার সন্ধ্যায় সুষময় মজুমদারের স্ত্রী কল্যানী মজুমদার রান্না করে খাবার ঘরে রাখলে কোন এক সময় চোর তাদের ভাতের সাথে চেতনানাশক ঔষুধ মিশিয়ে রাখে৷
পরে বাড়িতে স্বামী সন্তান নিয়ে ভাত খান, খাওয়ার পরে প্রথমে স্বামীর শরীর খারাপ লাগলে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন, একই রকম কল্যানী মজুমদারও অনুভব করেন তার মাথা ঘুরছে, শরীর খারাপ লাগছে এবং তিনিও ঘুমিয়ে পরেন৷
ছেলে শুভজীত মজুমদারের ও একইভাবে ভাত খাওয়ার পরে একই অবস্থা হয়৷ বাড়ির সকলে অচেতন হয়ে ঘুমিয়ে গেলে, আনুমানিক রাত ১২-৩০ মিনিটে চোর এসে প্রথমে ঘরের মাটির দেওয়া (ডয়া) কেটে ঘরে ঢুকে পরে ও কল্যানী মজুমদারের কানে থাকা স্বর্নের দুল খুলতে শুরু করেন এবং একটা খোলা হয়ে গেলে দ্বিতীয় দুল খুলতে গেলে কল্যানী মজুমদার ঘুমের ঘোরে বুঝতে পারেন তার কানে কেউ হাত দিচ্ছে তাই তিনি চিৎকার শুরু করেন এসময় চোর অপর কানের দুল ছিঁড়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ৷
তার ডাক চিৎকারে আশেপাশের প্রতিবেশিরা এসে তাদের এই অবস্থা দেখে গ্রামে থাকা ডাক্তার এনে তিনজনকেই স্যালাইন দেওয়া হয় ,এবং কল্লানী মজুমদারের ছিঁড়ে যাওয়া কানে ছয়টা সেলাই লেগেছে বলে জানা গেছে।
ঘটনাস্থলে রাতে চিতলমারী থানার ডিউটিরত অফিসার তাওহীদুজ্জামান ও সকালে চিতলমারী থানার এস আই গোপাল কুমার ঘোষ পরিদর্শন করেন৷ সুষময় মজুমদারের অবস্থার অবনতি দেখে তাকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো তাদের কারো জ্ঞান ফেরেনি। এ পর্যন্ত চোরকে চিহ্নিত করা যায়নি৷ উল্লেখ্য যে এমন চুরির ঘটনা আগেও এ গ্রামে কয়েকবার ঘটেছে৷
Leave a Reply