লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আপন ছোট ভাইয়ের উপর হামলা চালিয়েছে বড় ভাই। হত্যা উদ্দেশ্যে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ ছোট ভাইয়ের। তবে হামরার সময় স্থানীয়রা ৯৯৯-এ কল দিলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান।
এতে রক্ষা পান তিনি। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। জানা গেছে, ভাবনীগঞ্জের শরীফপুর গ্রামের মৃত- মৌলভী শামছুল হকের বড় পুত্র সাইফুদ্দিন খালেদ ও ছোট পুত্র মো. আজাদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দেয়।
শনিবার ইফতারের ঠিক আগ মুহুর্তে বড় ভাই খালেদ ৮-১০ জনকে সাথে করে তার ছোট ভাই আজাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলাকালীরা তার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে।
এক পর্যায়ে খালেদ তার ভাই আজাদের গলায় দড়ি পেঁছিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ সময় এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে পার্শবর্তী একটি ঘরে আশ্রয় দেয়।
পরবর্তীতে সেখানেও হামলা চালায় খালেদ ও তার সহযোগীরা। তারা ওই ঘরে থাকা ইফতার সামগ্রী তছনছ করে দেয় এবং দ্বিতীয়বার আজাদের উপর হামলা চালায়।
এ সময় ওই ঘরের এক কিশোরী ৯৯৯-এ ফেন দিলে হামলাকারীরা দ্রুত সটকে পড়ে। পরে পুলিশ গিয়ে সেখান থেকে আজাদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
হামলার শিকার আজাদ বলেন, আমি প্রতিবেশি বেলাল হোসেনের কাছ থেকে ৭ শতাংশ জমি ক্রয় করি। ওই কিন্তু ওই জমির মালিকানা আমার বড় ভাই খালেদ দাবি করে এবং জমিতে থাকা সুপারী গাছের ক্ষতি সাধনের জন্য আমাকে দায়ী করে আসছে। এ নিয়ে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত ছিলো।
শনিবার বিকেলে সে জমির দাতা বেলালকে মারধর শুরু করলে আমি বাধা দিতে যাই। এতে সে এবং তার ছেলে শামছুল আলম, তার অনুসারী স্থানীয় রাকিব, আরিফ, শাহজাহান, কাশেম মাঝিসহ তার ভাড়াটে লোকজন আমার উপর হামলা করে এবং আমার গলায় দড়ি পেঁছিয়ে ধরে।
স্থানীয়দের সহযোগীতায় অল্পের জন্য আমি রক্ষা পাই। এ ঘটনায় আমি আইনের আশ্রয় নেব। স্থানীয়রা জানায়, বিএনপি নেতা সাইফুদ্দিন খালেদ এক সময় এলাকায় ত্রাস ছিলো।
বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী এবং অপরাধমূলক কার্যক্রম চালাতো খালেদ। সদর থানার এসআই মো. শওকত জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আজাদের উপর তার বড় ভাই খালেদ হামলা চালিয়েছে। ৯৯৯-এ কল দেওয়ার পর আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করি।
Leave a Reply