গত ২৬/০৩/২১ খ্রিষ্টাব্দ তারিখ সকাল অনুমান ৮:০০ ঘটিকার সময় ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস লাবনী (৩৩) পিতাঃ মোহাম্মদ ওসমান গনি গ্রাম- সবুজ পাড়া , থানা ও জেলা- চুয়াডাঙ্গা তার স্বামীর বাড়ি কেদারগঞ্জ সিএমবি পাড়া হতে দাঁতের ডাক্তার দেখানোর নাম করে বের হয়।তারপর ভিকটিম বাড়িতে ফিরে আসে নাই।
উক্ত ঘটনা সম্পর্কে ভিকটিমের স্বামী মোঃ জাহিদুল ইসলাম (৩৬) পিতা-মোহাম্মদ ওমর আলী, গ্রাম- কেদারগঞ্জ, থানা ও জেলা চুয়াডাঙ্গা থানায় আসিয়া ২৭/০৩/২০২১ খ্রিস্টাব্দে ১২২৩ নম্বর একটা নিখোঁজ জিডি করেন।
উক্ত সাধারণ ডায়েরির প্রেক্ষিতে বিষয়টি চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম কে অবগত করিয়া চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ভিকটিমকে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়।
একপর্যায়ে ভিকটিমের মোবাইলের কল লিস্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায় ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস লাবনী গাজীপুর জেলার কোনাবাড়ী থানা এলাকায় অবস্থান করছে।
ভিকটিমের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর বিষয়টি পুলিশ সুপার চুয়াডাঙ্গা মহোদয় কে অবগত করা হয়। চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম মহোদয়ের নির্দেশে এবং চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই নিরস্ত্র গোপাল চন্দ্র মন্ডল সহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম গত ২৪/০৪/২১ খ্রিস্টাব্দে ভিকটিমকে রাতেই ভিকটিমকে গাজীপুর কোনাবাড়ী এলাকা থেকে উদ্ধার করে গতকাল রবিবার ২৫ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা থানায় নিয়ে আসা হয়।
পরবর্তীতে তার পরিবারের লোকজনকে সংবাদ প্রদান করা হলে, তার পরিবারের লোকজন থানায় আসে এবং উদ্ধারকৃত ভিকটিম জান্নাতুল ফেরদৌস লাবনীকে তার মা" নাসিমা খাতুন এবং শশুর মোহাম্মদ ওমর আলী দেব উপস্থিতিতে তার স্বামী মোঃ জাহিদুল ইসলামের নিকট চুয়াডাঙ্গা সদর থানার নারী শিশু ও বয়স্ক প্রতিবন্ধী হেল্পডেস্ক এর মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য যে, ভিকটিম পারিবারিক কলহের কারণে তার স্বামীর উপর অভিমান করে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছিল। প্রায় এক মাস নিখোঁজ থাকার পর আজ প্রায় এক মাস পর ভিকটিমকে পরিবারের সদস্যরা পেয়ে ভিকটিমের দুই সন্তানসহ আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত