চিনি শরীরের জন্য মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। অতিরিক্ত পরিমাণ চিনি বা শর্করা জাতীয় পদার্থ খেলে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি দেখা দিতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা। আর ওজন যদি বৃদ্ধি পায় তবে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি নানা রকমের গুরুতর শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। একবার এই সব রোগ দেখা দিলে নিয়ন্ত্রণে আনা ভীষণ কঠিন। প্রাকৃতিক চিনি এবার শরীরের জন্য উপকারী। প্রাকৃতিক চিনি ও পরিশোধিত চিনির মধ্যে ফারাক জেনে নেওয়া দরকার, আসুন জেনে নিই।
চিনি হল কার্বোহাইড্রেট জাতীয় পদার্থ। আমাদের শরীর এই কার্বোহাইড্রেটকে গ্লুকোজে পরিবর্তন করে শরীরকে শক্তি যোগায়। কিন্তু কী ধরনের চিনি আপনি খাচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করে সুস্বাস্থ্য।
প্রাকৃতিক চিনি মূলত বিভিন্ন ফলে ফ্রুকটোজ আকারে, ও দুগ্ধ জাতীয় পদার্থতে যেমন দুধ, চিজ ইত্যাদিতে ল্যাকটোজ আকারে পাওয়া যায়।
এতে পুষ্টিগুণ সম্বৃদ্ধ বিভিন্ন পদার্থ থাকে যা শরীর কে ভালো রাখতে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এই ধরনের চিনির হজম দেরিতে হওয়ার ফলে দেহে কার্যকারিতা বেশি। মেটাবোলিজম কে সঠিক রাখতে প্রাকৃতিক চিনি সাহায্য করে।
হোয়াইট সুগার, ব্রাউন সুগার, নারকোল সুগার, হাই ফ্রুক্তজ কর্ন সুগার এই গুলি উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত পদার্থ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। এইগুলি হল পরিশোধিত চিনি। যার ফলে এই ধরনের চিনি বেশি খেলে ওজন বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্যান্সারের মত।মারণ রোগ হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি থাকে।
ফল যখন আমরা খাই, তখন চিনির পাশাপাশি ফলের ফাইবার শরীরে প্রবেশ করে, যার ফলে এই প্রাকৃতিক চিনি শোষিত হতে কম সময় লাগে। যার ফলে এরা রক্তে ব্লাড সুগারের পরিমাণ বৃদ্ধি করে না।
স্ট্রবেরি, রাস্পবেরি, ব্ল্যাকবেরি ইত্যাদি ফলে কম মাত্রায় প্রাকৃতিক চিনি থাকে, অন্য দিকে ড্রাই ফ্রুট, কলা ও আমে চিনির পরিমাণ বেশি।
ফলের রসের তুলনায় গোটা ফল খাওয়া অনেক বেশি উপকারী কারণ, বাজার চলতি ফলের রসে আলাদা করে চিনি মেশানো হয়। পরিশোধিত চিনি দেহের দ্বারা তাড়াতাড়ি শোষিত হয় ফলে ব্লাড সুগার ও ইনসুলিনের পরিমাণ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। এবং ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনাও দেখা দেয়।
যদিও প্রাকৃতিক চিনি ও পরিশোধিত চিনির মধ্যে খুব বেশি ফারাক নেই। সুস্থ থাকতে তাই চিনি এড়িয়ে চলাই ভালো। যদি একান্তই খেতে হয় তবে সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক চিনি বেছে নেওয়া প্রয়োজন কারণ এর পাশাপাশি ফাইবার জাতীয় পদার্থ শরীরে প্রবেশ করে।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত