শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
একসঙ্গে কতটি কোয়েলের ডিম খাওয়া নিরাপদ? হিরো আলম ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে, ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ঘোষিত সময়ের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয়: সালাহউদ্দিন হতাশায় শেষ বাংলাদেশ, জয়ের কাছাকাছি শ্রীলঙ্কা পাকিস্তানের সঙ্গে স্থগিত, বাংলাদেশের সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে আগ্রহী ভারত সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য কঠোর নির্দেশনা, অমান্য করলে শাস্তির মুখে পড়তে হবে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা আবারও ৪ দিনের রিমান্ডে ‘নগদ’-এর নেতৃত্বে নতুন চেয়ারম্যান ডিভোর্সের গুঞ্জন নিয়ে মুখ খুললেন ঐশ্বরিয়া ইউক্রেন বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নকে (ইইউ) অনুরোধ জানাবে।

শিশুর শৈশবে বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য প্রারম্ভিক যত্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১
  • ৫২৯ Time View

যেসব শিশুর বৃদ্ধি ব্যাহত হয় তারা বয়সের তুলনায় অনেক খাটো থাকে। শিশু খর্বকায়ত্বের পেছনে মস্তিষ্কের পুষ্টিহীনতা দায়ী। বেড়ে ওঠার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে তাদের মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। ফলে শিশুর বিকাশ ব্যাহত হয়।

অনেক ক্ষেত্রে এর ফলে অপূরণীয় ক্ষতি হয়। এর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি যেমন, মানসিক শক্তি কমে যাওয়া ও লেখাপড়ায় দুর্বলতা, যার ফলে স্কুলের ফলাফল হয় খারাপ।

বাংলাদেশে পুষ্টির সংকট শুরু হয় সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা থেকেই। এই চক্র অব্যাহত থাকে কম ওজনের শিশু জন্ম, মানসম্মত খাবার না পাওয়া এবং দুর্বল খাদ্যাভ্যাসে।

সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যের (এমডিজি) অন্যতম শর্ত ছিল শিশুর খর্বকায়ত্ব কমিয়ে আনা। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ অগ্রগতি অর্জন করলেও এই অর্জনের গতি ঝিমিয়ে পড়েছে।

খর্বকায়ত্ব কমার হার ২০০৭ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে কম। তার উপর লম্বার তুলনায় কম ওজনের শিশুর হার ২০০৭ সালের পর থেকে তেমন কমেনি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, বাংলাদেশে খর্বকায়ত্ব ও লম্বার তুলনায় কম ওজনের মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। ২০১৩ সালে ইউনিসেফের একটি জরিপ অনুযায়ী, মায়েদের নিম্ন শিক্ষার হার এবং সামাজিক ও আর্থিক সংকটের বড় সম্পর্ক রয়েছে শিশুর পুষ্টিহীনতার সাথে।

বিশুদ্ধ পানি ও মানসম্মত পয়ঃনিশ্কাষণ ব্যবস্থা পুষ্টির অন্যতম প্রধান নিয়ামক।

বস্তির শিশুরা সব সময় অপুষ্টির উচ্চ ঝুঁকিতে থাকে। আর এর একটি বড় কারণ বিশুদ্ধ পানির অভাব। পানির ব্যাবস্থা ঠিক নেই, এরকম বাড়ির শিশুদের ৫৭ ভাগই বয়সের তুলনায় ওজন কম এবং বেঁটে। অন্যদিকে বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা আছে সেরকম পরিবারে এই সংখ্যা শতকরা ৩১ ভাগ

বাংলাদেশ একটি দুর্যোগপ্রবণ একটি দেশ আর জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখানে দুর্যোগের মাত্রা হয়ে দাড়িয়েছে আরো প্রকট। বন্যা বা ঘূর্ণিঝড় পানির উৎসগুলোকে দূষিত করে দেয়। তাই দুর্যোগের পরপরই অনেক শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং অপুষ্টিতে ভোগে।

সমাধান

খর্বকায় রোধে শিশুর দুই বছর বয়স পর্যন্ত ১০০০ দিনের একটি পরিকল্পনা প্রণয়নে সরকারকে সহযোগিতা করছে ইউনিসেফ।

শিশুর বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী নানাবিধ জটিলতা মোকাবিলায় বহুমুখী পদক্ষেপ থাকছে এতে। এই কর্মসূচিতে পুষ্টি কার্যক্রমের সঙ্গে ইউনিসেফের বিভিন্ন বিভাগগুলো সমন্বিত হয়ে কাজ করে।

খর্বকায়ত্ব নির্মূল কর্মসূচিতে  গতি আনাকে মূল লক্ষ্য ধরে পুষ্টি কার্যক্রমে একে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

কর্মসূচির মূল বাস্তবায়নকারী অংশীদার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং শিল্প মন্ত্রণালয়।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের মধ্যে রয়েছে নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জাতিসংঘ ও তার অঙ্গ সংগঠন, অন্যান্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানসমূহ।

তাছাড়া জাতীয় পুষ্টি নীতি এবং দ্বিতীয় ন্যাশনাল প্ল্যান অব অ্যাকশন ফর নিউট্রিশন ২০১৬-২০২৫ বাস্তবায়নেও কৌশলগত সহায়তা দেওয়া হবে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense