লকডাউনের মধ্যে মসজিদে ইফতার খেতে না যাওয়ায় মুসল্লিদের গালিগালাজ করার প্রতিবাদ করায় হাফিজুর রহমান (৩২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে আহত করেছেন প্রতিপক্ষের লোকজন।
আহত হাফিজুর রহমান এখন কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ১৫ এপ্রিল গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার চরভাটপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
হাফিজুর রহমান ওই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক শেখের ছেলে। এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামী করে কাশিয়ানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের নাছির শেখ সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রথম রমজানে এলাকার মসজিদে ইফতার দেন।
করোনার কারণে মসজিদ কমিটির নির্দেশে এলাকার রোজাদাররা মসজিদে ইফতার করতে যাননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরের দিন মসজিদের সামনে গিয়ে নাছিরের সমর্থক হাবিব শেখ, শাকিল ও বাদল এলাকার মুসল্লিদের উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ সময় উপস্থিত হাফিজুর রহমানসহ এলাকার মুরব্বিরা তাদের গালির প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে হাফিজুর রহমানের সাথে কথা কাটাকাটি ও বাকবিতন্ডে জড়িয়ে পড়েন ওই তিন যুবক।
এরই জের ধরে সন্ধ্যায় হাবিব শেখের নেতৃত্বে শাকিল শেখ, রাকিব শেখ, বাদল শেখ, সুমন শেখ, সাহেব আলী, রনি মোল্যা, অভি শিকদার, আরমান, শফিকুল ও মনিরুল শেখসহ ৮/১০ জন সংঘবদ্ধ হয়ে রামদা, লোহার রড, লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হাফিজুরের বাড়িতে প্রবেশ করে হাফিজুর ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা ঘরবাড়ি ও ইজিবাইক ভাংচুর এবং ঘরের আসবাবপত্র, স্বর্ণালংকার লুটপাট করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় হাফিজুর রহমানকে উদ্ধার করে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার স্বজনেরা।
মামলার প্রধান আসামী হাবিব শেখের মুঠোফোনে কল দিয়ে সাংবাদিক পরিচয় দিলে তিনি ব্যস্ততার কথা বলে কলটি কেটে দেন।
কাশিয়ানী থানার ওসি মো. আজিজুর রহমান বলেন, ১০ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। আসামীদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply