শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫, ১১:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
১৬১১১ এ কল পেয়ে যাত্রীবাহী লঞ্চে গুরুতর অসুস্থ যাত্রীকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছে কোস্ট গার্ড গোপালগঞ্জে প্রতিবন্ধী এবং প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের মাঝে বিনামূল্যে হুইলচেয়ার বিতরণ ভারতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রির মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি গ্রাম পরিচিতি পেল ‘এক কিডনির গ্রাম’ নামে মুরাদনগর গ্রামে গ্রেপ্তার আতঙ্কে পুরুষশূন্য পরিবেশ পুলিশের অভিযানে আসামির লাফিয়ে আত্মহত্যার হুমকির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে দলের নাম ব্যবহার করে কেউ অসদাচরণ করলে নেওয়া হবে কঠোর ব্যবস্থা : রিজভী তেজগাঁওয়ে সৌদি রিয়াল ডাকাতির ঘটনায় ১৩ জন গ্রেপ্তার পুতিনকে ফোন করার পর ট্রাম্প বললেন, ‘আমি হতাশ’ সবজির দাম বেড়েছে, তবে ডিম ও মুরগিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে কুমিল্লার মুরাদনগরে নারী নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব

উত্তরবঙ্গের বাজারে চড়া দাম পেতে লক্ষ্মীপুরে পঁচানো সুপারীতে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত রং

 সোহেল হোসেন,লক্ষ্মীপর প্রতিনিধি
  • Update Time : বুধবার, ২১ এপ্রিল, ২০২১
  • ২৮৪ Time View

লক্ষ্মীপুর প্রশাসনের নাকের ডগায় পঁচানো সুপারিতে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে দেদারছে মেশানো হচ্ছে রং ও ক্যান্সার সৃষ্টিকারী বিষাক্ত হাইডোজ। উন্মুক্ত পদ্ধতিতে পঁচানো সুপারিতে বিষাক্ত হাইড্রোজ মেশানোর চিত্র জেলা সদরসহ রায়পুর রামগঞ্জ কমলনগর-রামগতিতে দেখা যায় প্রতিদিন।

লক্ষ্মীপুর থেকে এ বিষাক্ত সুপারি যাচ্ছে দেশের উত্তরাঞ্চল নীলফামারী, সৈয়দপুর, রংপুর দিনাজপুর সিলেট নওগাঁসহ ১৬ টি বিভিন্ন জেলা-উপজেলার আড়তে।

প্রতি মৌসুমে ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকার হাইড্রোজ মিশ্রিত বিষাক্ত কাঁচা সুপারি উত্তরের ১৬ জেলার বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।

এতে উত্তরাঞ্চলের কয়েক কোটি মানুষ এ বিষাক্ত কেমিক্যালযুক্ত সুপারি খেয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি সুপারী উৎপাদন হয় রায়পুর উপজেলায়।

উপজেলার সর্বত্রই প্রকাশ্যেই জনসমাগমস্থলে পঁচানো হয় সুপারি। আর এই পচা সুপারির উন্মুক্ত পদ্ধতিতে পানিতে মেশানো হয় ও বিষাক্ত।

খোলা স্থানে পচা সুপারির রং ও বিষাক্ত হাইডোজ মিশ্রনের সময় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হচ্ছে না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা……কে বারবার ফোন দিলেও মোবাইল রিসিভ করেন না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সুপারি খেলে লিভার ও কিডনি বিকল বা ক্যানসারের মতো ঘাতক ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা আছে।

তাই এ বিষাক্ত সুপারির সরবরাহ বন্ধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মনে করে স্থানীয় সচেতন মহল। লক্ষ্মীপুর সদরের চররুহিতা ইউনিয়নের স্থানীয় কয়েকজন সুপারি ব্যাপারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় পাইকারি সুপারির আড়ত হচ্ছে সৈয়দপুর।

ওই আড়তের ব্যবসায়ীরা আমাদের লক্ষীপুর থেকে সিংহভাগ সুপারি ক্রয় করে থাকেন। এছাড়াও বরিশাল, খুলনা, বাগেরহাট, নোয়াখালী, পঞ্চগড়, চিলাহাটি থেকে পানিতে পঁচা সুপারি কিনে নেন ব্যবসায়ীরা।

জানা গেছে এসব সুপারি আড়ত থেকে পাশের প্রায় ১৬টি জেলার ব্যবসায়ীরা এ পঁচা সুপারি কিনে নিজ নিজ এলাকায় সরবরাহ করেন। কয়েকজন পাইকারি সুপারি ব্যবসায়ী বলেন, এখানকার আড়তদারের কাঁচা সুপারিগুলো যায় উত্তরাঞ্চলের সব জেলার বাজারে। তুলনামূলক সস্তা দরের কারণে খুচরা ব্যবসায়ীদের এ সুপারির প্রতি আগ্রহ বেশি।

শুকনা সুপারি তিন মাস পাওয়া যায়। এরপর পুরো বছরই কাঁচা সুপারির ওপর নির্ভর করতে হয়। তবে হাইড্রোস মিশ্রিত করে বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা সুপারি পাঠালে পানি পঁচার বিকট গন্ধ থাকে না।

রংটাও ভালো থাকে। পাশাপাশি এটি সহজে নষ্ট হয় না। আরিফ নামের এক পাইকারি সুপারি ব্যবসায়ী বলেন, এক বস্তা সুপারির দাম ১ হাজার ৮০০ টাকা। ৪৫ থেকে ৫০ কোটি টাকার সুপারি পুরো মৌসুমে আমদানি-রপ্তানি হয়।

পানিতে পঁচা সুপারি নিয়ে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরের এলাকার পান দোকানদার তৈয়ব আলী ও আকবর বলেন, ‘শতকরা ৮০ জন পানসেবী এ কাঁচা সুপারিতে আসক্ত হয়ে পড়েছে।

তাই বাধ্য হয়ে কাঁচা সুপারি বিক্রয় করছি। তবে এতে ক্ষতির কথা না জানলেও হাইড্রোজ মিশানোর কথা স্বীকার করেন পান দোকানিরা।

এমন বিষাক্ত কেমিক্যাল, ক্ষতিকর রং ও হাইড্রোজ মিশিয়ে পঁচা সুপারীকে চকচকে লাল আকর্ষণীয় করে তোলার দৃশ্য লক্ষ্মীপুর জেলার আনাচে-কানাচে প্রতিদিনই দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয় প্রশাসনকে অবগত করা হলেও তেমন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না বলে কয়েকজনের সাথে আলাপকালে জানা যায়।

বিষাক্ত কেমিক্যাল, ক্ষতিকারক রং ও হাইড্রোজ মিশ্রনের সময় বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করানো হলে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে নিয়ে পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ডের ছিটন বাড়ির পাশে পঁচা সুপারির গুদামে ‘বারেক বেপারী’ নামের এক বড় ব্যবসায়ী ও তার লোকজনকে সুপারি রং করা অবস্থায় দেখতে পান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম ওই ব্যবসায়ীকে সুপারিতে বিষাক্ত কেমিক্যাল মেশানো নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জেলা সিভিল সার্জন বরাবর -‘এই রং, কেমিক্যাল ও হাইড্রোজ মানব দেহের কোন ক্ষতি করে কিনা’ এই মর্মে আবেদন করেছেন বলে একটি কাগজ দেখান।

এখনো আবেদনের কোন রেজাল্ট হাতে না আসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাসুম কোন বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি।

তবে লক্ষ্মীপুরে দাদনে সুপারি পঁচানো বড় বড় ব্যাপারী হলো সদর পৌরসভা ১৫ নং ওয়ার্ডের ছিটন বাড়ির আব্দুল বারেক ও একই এলাকার করিম খাঁ ব্যাপারী, দালাল বাজার ইউনিয়নের চন্দন গাজী বাড়ীর সেলিম বেপারী, মিলগেট এলাকার হানিফ বেপারী, কাঞ্চনী বাজারের জহিরুল ইসলাম, দাসপাড়া এলাকার মানিক ব্যাপারী, জকসিন বাজারের শফিক ও সোহেল, মিয়ার রাস্তার মাথার মোমিন বেপারী, ভবানীগঞ্জের সেলিম বেপারী, সীতা ডাক্তার গোঁজার ছুট্টু বেপারী রামগঞ্জ উপজেলার মোরশেদ বেপারী, রফিক বেপারী ও রাশেদ বেপারী, রায়পুর উপজেলার হায়দারগঞ্জ বাজারের শাহ আলম মিজি, আলাউদ্দিন বেপারীসহ ছোটখাটো আরো সুপারি ব্যাপারীরা প্রতি মৌসুমে সুপারি পঁচিয়ে তা বিষাক্ত কেমিক্যাল, ক্ষতিকর রং ও ক্যান্সার সৃষ্টিকারীকার হাইড্রোজ মিশিয়ে সুপারিকে চকচকে আকর্ষণীয় লাল রঙ কর তুলছে।

এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মাসুম বলেন, খাদ্যে ভেজালের বিষয়ে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

তাই ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিন চৌধুরীকে কয়েকবার মোবাইল ফোনে কল করেও পাওয়া যায়নি।

এসিল্যান্ড আক্তার জাহান সাথীকে ফোনে উন্মুক্ত পদ্ধতিতে পঁচানো সুপারিতে রং ও বিষাক্ত হাইড্রোজ মেশানোর বিষয়টি অবগত করালেন তিনি ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

জেলা সিভিল সার্জন আব্দুল গফফার বলেন-‘হাইড্রোজ হচ্ছে একটি বিষাক্ত কেমিক্যাল। এর প্রভাবে কিডনি, লিভারের ক্ষতিসহ শরীরের যেকোনো স্থানে ক্যানসার হতে পারে।

এ সুপারি খাওয়া লোকদের ঠোঁটের দুই কোণে সাদা ঘা দেখা যায়। তাই এ সুপারি বন্ধে এখনই পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। তিনি আরো বলেন- ‘কোনো ক্ষতিকারক কেমিক্যাল রং বা হাইড্রোজ মিশিয়ে সুপারি রং করা যাবে না। যদি কোনো অসাধু ব্যবসায়ী এ অবৈধ কাজ করে তাকে শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে। ক্ষতিকর রং ও হা

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense