
সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের স্বার্থ ও একাডেমিক চাপ বিবেচনা করে চলমান কর্মবিরতি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন। বাংলাদেশ সরকারি মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি (বাসমাশিস) মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এর ফলে বুধবার থেকে সারা দেশে নিয়মিত সূচি অনুযায়ী বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষা এবং শিক্ষাজীবনকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনা শিক্ষকদের দায়িত্ব। তাই সংশ্লিষ্ট সবাইকে আগামীকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে বার্ষিক পরীক্ষা গ্রহণে সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে। পাশাপাশি সমিতি তাদের ন্যায্য দাবির দ্রুত সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ আশা করেছে।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) থেকে ‘বাসমাশিস’-এর ব্যানারে চার দফা দাবিতে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া বার্ষিক পরীক্ষাও স্থগিত ছিল। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, কুমিল্লা, রংপুরসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হয়নি। ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল, সরকারি করোনেশন গার্লস হাইস্কুল (খুলনা), গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুল, শেরেবাংলা নগর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়, সবুজবাগ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, শেরপুরের সরকারি ভিক্টোরিয়া একাডেমি, কুষ্টিয়া জিলা স্কুল, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা স্থগিতের খবর পাওয়া গেছে।
শিক্ষকরা দীর্ঘদিনের পেশাগত মর্যাদা ও বেতন-ভাতা সংক্রান্ত চারটি দাবিতে এই কর্মবিরতি পালন করছেন। তাদের দাবি হলো:
সহকারী শিক্ষক পদকে নবম গ্রেডে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারভুক্ত করা ও ‘মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’-এর গেজেট দ্রুত প্রকাশ।
বিদ্যালয় ও পরিদর্শন শাখায় বিভিন্ন শূন্য পদে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদায়ন দ্রুত কার্যকর করা।
সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী বকেয়া টাইমস্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের মঞ্জুরি তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রদান।
২০১৫ সালের পূর্বের মতো সহকারী শিক্ষকদের দুই থেকে তিনটি ইনক্রিমেন্টসহ অগ্রিম বর্ধিত বেতন-সুবিধা বজায় রেখে গেজেট প্রকাশ।
মন্তব্য করুন