হাফিজুর রহমান :
চুয়াডাঙ্গায় ৪র্থ ধাপে জীবননগর পৌর নির্বাচনে কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়াসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী শাহাজান কবির। আজ১৪ফেব্রয়ারী রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শহরের সাবেক পৌর মেয়রের বাড়ির সামনে বিএনপির নির্বাচনী অফিসে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি। জাতীয়তাবাদী বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের মেয়র প্রার্থী শাহাজান কবির সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর আমার কর্মী সমর্থকরা বিধি মোতাবেক পৌরসভার সবগুলো ওয়ার্ডে ব্যানার ও পোস্টার ঝুলান। কিন্তু এরপর থেকে সরকারদলীয় লোকজন আমার সকল ব্যানার ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলেন। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারণা শুরু থেকে বিভিন্ন মহল্লায় সরকারদলীয় লোকজন আমার নির্বাচনী প্রচারে বাধা সৃষ্টি করেন। বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেছি। তারপরও সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আমি আমার সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে গিয়েছি। গত তারিখ সন্ধ্যার পর থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত সরকারদলীয় লোকজন হ্যান্ড মাইক নিয়ে দর্শনা পৌর এলাকার সকল ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করে এবং আমার নির্বাচনী এজেন্টসহ কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান বুলেট সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর আমার কর্মী সমর্থকরা বিধি মোতাবেক পৌরসভার সবগুলো ওয়ার্ডে ব্যানার ও পোস্টার ঝুলান। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারণা শুরু থেকে বিভিন্ন মহল্লায় সরকারদলীয় লোকজন আমার নির্বাচনী প্রচারে বাধা সৃষ্টি করেন। বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেছি। তারপরও সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে আমি আমার সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে গিয়েছি। আমার নির্বাচনী এজেন্টসহ কর্মী সমর্থকদের বাড়িতে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। আজ নির্বাচনের দিনও সকাল থেকে পৌর এলাকার সকল ভোট কেন্দ্রে আমার কোনো পোলিং এজেন্টদেরকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যে সেন্টারে পোলিং এজেন্ট গিয়েছে, তাকেই গলাধাক্কা দিয়ে খুন জখমের হুমকি দিয়ে সরকার দলীয় লোকজন ভোট সেন্টার থেকে বের করে দিয়েছে। সরকার দলীয় লোকজন ভোট কেন্দ্রে প্রবেশ করার পর সকল বুথ দখল করে তাদের মনোনীত প্রার্থীর মার্কায় সিল মারছে। এমতাবস্থায় জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে যেহেতু সাধারণ ভোটারদের উপস্থিত হতে দিচ্ছে না, সেহেতু সাধারণ জনগণের মতের প্রতিফলন ঘটনোর সম্ভাবনা না থাকায় আমি নির্বাচন বর্জন ঘোষণা করলাম।জীবননগর পৌর নির্বাচনে মোট ভোটার ২০হাজার ৮শত ২৭জন। পুরুষ ভোটার ১০হাজার ১শত ৩৩জন এবং মহিলা ভোটার ১০হাজার ৬শত ৯৪জন।
Leave a Reply