শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ কালকিনিতে প্রধান শিক্ষকের অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল সবজির দামে স্বস্তি, চড়া ডিম মুরগির বাজার বিডিআর বিদ্রোহের দিন কী ঘটেছিল, জানালেন সাবেক সেনাপ্রধান মইন জাতিসংঘ অধিবেশনে ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারা ৫ আগস্টের পর আরেকটি দল লুটের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: ফয়জুল করীম লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কোটালীপাড়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তিতে রংপুরে শহীদি মার্চ পালন ডিএমপির ১১ উপপুলিশ কমিশনারকে বদলি

মাদারীপুর কে আই হাসপাতালের নানা অভিযোগ ভুল চিকিৎসায় একের পর এক রোগীর মৃত্যু

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০
  • ১৬৩ Time View

 নুসরাত আনিকা মাদারীপুর প্রতিনিধি

মাদারীপুরে কে আই হাসপাতালের চিকিৎসা সেবায় রয়েছে নানা অভিযোগ। হাসপাতালে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে একের পর এক রোগী। চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় একাধিক বার রোগীর মৃত্যু হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। এদিকে অনিয়মে ভরা হাসপাতালটি সিভিল সার্জন অফিস থেকে নজরদারি না করায় একাধিক ভুয়া কথিত কিছু চিকিৎসক ও নার্সদের কারনে ঘটছে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা। গত এক বছরে এই হাসপাতালে অন্তত তিন জন গর্ভবতী নারীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি এসব ঘটনা ঘটলেও হাসপাতালটি তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা যায়, ১০ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার আবুল কালাম আজাদ (৬০) নামে এক রোগী ওই হাসপাতালের ভুল চিকিৎসায় মারা যায়। চিকিৎসক আহসান হাবিব চিকিৎসা সেবার নামে ভুল চিকিৎসার কারণে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেন রোগীর স্বজনরা। মারা যাওয়া ওই রোগীর স্বজনরা জানায়, গত বুধবার পাইলসের অপারেশন করার জন্য মাদারীপুর শহরের পানিছত্র এলাকায় কে আই হাসপাতালে ভর্তি হন আবুল কালাম আজাদ (৬০)। আবুল কালাম থাকেন শহরের সৈদারবালী এলাকায়। কে আই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর রোগীকে একটি ইনজেকশন ও কিছু ওষুধ দেন চিকিৎসক আহসান হাবিব। ওষুধ সেবন ও শরীরে ইনজেকশন দেওয়ার পর রোগী আবুল কালামের বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসক তাকে ইসিজি করাতে বলেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে ওই হাসপাতালে রোগীর অপারেশন করার কথা বলে অপারেশন কেবিনে (ওটি) নিয়ে যান। এরপরেই মারা যান রোগী আবুল কালাম আজাদ। এ সম্পর্কে নিহতের স্ত্রী রাশিদা বেগম বলেন, ‘আমি আমার স্বামীকে বুকে ব্যথা ছাড়াই ভর্তি করেছি। ডাক্তার ইনজেকশন আর ওষুধ খাওয়ানোর পরেই আমার স্বামীর শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে এবং খারাপের দিকে চলে যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের আয়ের জন্য আমার স্বামীকে ভর্তি রেখে বলে কাল অপারেশন হলেই নাকি আমার স্বামী সুস্থ হবে। কিন্তু অপারেশনের আগেই আমার স্বামীর প্রচুর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তবুও তারা অক্সিজেন মাস্ক না দিয়েই অপারেশন করতে নিয়ে যান। কিন্তু তাদের সব চিকিৎসাই ভুল ছিল। তাদের ভুল চিকিৎসার কারণেই আমার স্বামী আজ মারা গেলো। আমি ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের বিচার চাই। তিনি আরও বলেন, ‘আমার স্বামী হাসপাতালে মারা গেলে সাথে সাথেই ওই ডাক্তার পালিয়ে যায়। আমরা তাকে প্রশ্ন করলেও তিনি কোন উত্তর দেয়নি। পরে হাসপাতাল থেকে এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে জরুরী ঢাকায় নিতে বলে। কিন্তু আমি আমার স্বামীর কাছে গিয়ে দেখি সে আর জীবিত নেই।’ অভিযোগের বিষয়ে ওই হাসপাতালে গিয়ে আহসান হাবিবের খোঁজ নেওয়া হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে কল দিলে তিনি সাংবাদিদের বলেন, ‘রোগীর আনকন্ট্রোল ডায়বেটিস ও হার্টডিজিজ নিয়ে ভর্তি হয়। আমি তাকে কনর্জাভেটিভ চিকিৎসা দিয়েছি। কিন্ত অপারেশন কালে তিনি হার্টঅ্যাটাকে মার যান। আমার চিকিৎসায় কোন ভুল ছিল না।’ জানতে চাইলে কে আই হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. কবির হোসেন বলেন, ‘আমার হাসপাতালে কোন অনিয়ম থাকলে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে। এখানে আমার কোন কিছুই বলার নেই। আর চিকিৎসা সেবায় যদি কোন ভুল থাকে তাহলে সাংবাদিকরা তা প্রকাশ করুক। এতে আমার কোন অসুবিধা নাই।’ হাসপাতালটির বিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওই হাসপাতালটির বিরুদ্ধে আমরা আগেপরে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো। তবে কোন ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যু হলে ওই চিকিৎসক ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা আমাদের নিয়মের মধ্যে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category