বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ০১:১০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
Melbet saytiga kirish va uning O‘zbekistondagi afzalliklari কৌশলে ভাড়াটিয়াকে ধর্ষণের অভিযোগ, পরে অপবাদ দিয়ে মারধর পথসভায় লোক ভাড়া করে এনে টাকা না দেয়ার অভিযোগে হট্টগোল ফরিদরপুরের নগরকান্দা উপজেলায় শেষ হলো নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতা যারা পিআর নিয়ে কথা তুলছে তারা স্বৈরাচারের দোসর – হেলেন জেরিন খান রাজৈরে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে সনাতনী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত। টেকেরহাট শহীদ সরদার সাজাহান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজে ” জুলাই গণ অভ্যুত্থান”দিবস উদযাপিত। ভোগ বিলাসে উপদেষ্টারা ব্যস্ত : রংপুরে সাদিক শার্শায় হতদরিদ্রের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচির চাল ছিনতাইয়ের অভিযোগে আটক-২

২ লাখ টাকায় প্রবাসী স্ত্রীকে খুন করানোর অভিযোগ, জানিয়েছে পুলিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই, ২০২৫
  • ১৮৬ Time View
বা থেকে আনোয়ার হোসেন, রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু। ছবি : সংগৃহীত

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় জমি বিরোধকে কেন্দ্র করে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। মাত্র ২ লাখ টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে খুনি দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয় এবং মরদেহ ফেলে রাখা হয় একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে। ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করেছে। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন নিহতের ভাসুরের স্ত্রী।

বুধবার (২ জুলাই) এসব তথ্য নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আজিজুল হক। তিনি জানান, রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণগ্রামের সৌদি প্রবাসী শামসুল হক আলমের স্ত্রী ফেরদৌসী বেগমকে পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।

গ্রেপ্তার চার আসামি হলেন—নিহতের ভাসুরের স্ত্রী নুরজাহান বেগম, ভাড়াটে খুনি আনোয়ার হোসেন, রুবেল আহমেদ মিন্টু ও মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন জিল্লু। তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ওসি আজিজুল হক বলেন, বাড়ির পাশে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফেরদৌসী বেগম ও নুরজাহান বেগমের মধ্যে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি মীমাংসা না হওয়ায় ক্ষোভ থেকে নুরজাহান ভাড়াটে খুনি আনোয়ারের সঙ্গে ২ লাখ টাকায় চুক্তি করেন। পরে রুবেল ও জিল্লুও হত্যায় অংশ নেয়।

গত ২৭ জুন সকালে ফেরদৌসী বেগমকে নির্জন এক বাগানে হত্যা করা হয়। এরপর মরদেহ একটি বস্তায় ভরে পাশের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়। তিনি নিখোঁজ হলে পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। অবশেষে ১ জুলাই সকাল ৮টার দিকে স্থানীয়রা বাড়ি থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে ওই সেপটিক ট্যাঙ্কে বস্তাবন্দি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহতের ছেলে ইকরামুল হাসান থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে প্রথমে নুরজাহানকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে বাকি তিন আসামির নাম উঠে আসে। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরও গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ফেরদৌসীর কানের দুল ও গলার চেইন উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তিন ভাড়াটে খুনিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense