রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
খালি পেটে কখনো কোন কাজ করা ঠিক নয় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ: এনবিআর অচল, রপ্তানি কার্যক্রম ঝুঁকির মুখে একদিনে আরও ২৬২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১ জন ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালির ঝলমলে ক্যারিয়ারের আড়ালে লুকানো বিষাদের অধ্যায় মেজর লিগ ক্রিকেটে এবার নাটকীয়তার চূড়ান্ত, শেষ বলেই ছক্কা মেরে রুদ্ধশ্বাস জয়! রানওয়েতে কালো ভাল্লুক, বাতিল এক ডজন ফ্লাইট এনবিআরের শাটডাউন: সারা দেশে আমদানি-রপ্তানি ও শুল্ক-কর সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত একসঙ্গে কতটি কোয়েলের ডিম খাওয়া নিরাপদ? হিরো আলম ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে, ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ঘোষিত সময়ের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয়: সালাহউদ্দিন

মাদারীপুরে দুপক্ষের মারামারির ঘটনায় দোকানে লুটপাট ও মারধর করার অভিযোগ

মাদারীপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২১ মার্চ, ২০২৪
  • ৩০২ Time View
মাদারীপুরে দুপক্ষের মারামারির ঘটনায় আশ্রয়দাতার দোকানে লুটপাট ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে কতিপয় দুষ্কৃতিকারীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বেলা ১২ টার দিকে সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের ঝিকরহাটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, খাতিয়াল এলাকার ইমন মল্লিক নামে একটি ছেলেকে ঝিকরহাটি এলাকার খান বংশের কয়েকজন ছেলে মিলে মারতে মারতে তাতীবাড়ি বাজারের পূর্ব পাশের ছাদিয়া থ্রিপিচ দোকানের সামনে নিয়ে আসে। পরে ওই দোকানদার হাবিব মোল্লা তার দোকানের মধ্যে আশ্রয় দেয়।
পরবর্তীতে স্থানীয় শালিস মিংমাংসার সিদ্ধান্ত হয়। পুনরায় ইমন মল্লিককে মারধর এবং ওই দোকানে বসা কামরুল মোল্লাকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে অভিযুক্তরা।
ভুক্তভোগী ছাদিয়া থ্রিপিচ কর্নারের মালিক হাবিব মোল্লা (40) বলেন, স্থানীয় খান বংশের জলিল খানের ছেলে আশিক খান (20) ও আসিফ খান (22) এবং ওই এলাকার জানে আলম (20) সহ 6/7 জন লোক ইমন মল্লিক নামে একটি ছেলে কে মারতে মারতে আমার দোকানের সামনে নিয়ে আসলে। আমি ইমন মল্লিক কে আশ্রয় দেই।
এসময় আমার দোকানে থাকা এক স্থানীয় মুরুব্বীকে মাথায় আঘাত করে। এর এক পর্যায় আমাকে দোকান থেকে বের করে দিয়ে দোকানের ক্যাশবাক্সে থাকা নগদ দেড় লাখ টাকা ও ২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। এছাড়াও দোকানে থাকা ২৬ হাজার টাকার স্মার্ট টিভি ভেঙ্গে ফেলে। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
ঘটনার সত্যতার স্বীকার করে প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আলী মোল্লা বলেন, মারামারির ঘটনায় আমরা স্থানীয়রা ছাড়াই দিয়ে ইমন মল্লিক কে উদ্ধার করে মটর সাইকেল যোগে নিয়ে যাচ্ছি। খান বংশের ছেলেপেলেরা পুনরায় এসে আমার চাচা কামরুল মোল্লাকে একটি লাঠি দিয়ে আঘাত করে মাথায় মারাত্মক জখম করে।
এছাড়াও হাবিব মোল্লার দোকানে হামলা ও ভাঙ্চুর চালিয়ে লুটপাট করেছে। আমরা থানায় জানিয়েছি এবং স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছি।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম সালাউদ্দিন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে। এখনো আমরা অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense