বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মুনু মোল্লার সেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন। এমন একটি বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপ মেসেঞ্জারে ঘুরপাক খাচ্ছে। জানা যায় সংগঠনের নিয়ম বহির্ভূত কার্যকলাপ ও নিজেদের মধ্যে কাদা ছোড়াচুড়ি এবং চেইন অব কমান্ড ভঙ্গের অভিযোগ এনে বিতর্কিত সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মনু মোল্লা,, তার নিজস্ব ফেইসবুক আইডি ও মেসেঞ্জার গ্রুপ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ এর ঘোষণা দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্টার্টার্স দেন।
এব্যাপারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হোসেন আলী মাষ্টার মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,, দির্ঘদিন যাবৎ সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ মনু মোল্লা ইউপি মেম্বার অ্যাসোসিয়েশন সংগঠনে অনিয়ম দূর্নীতি ও নেতৃবৃন্দের সাথে অসাধ আচারন করে আসছিল। এবিষয়ে তাকে বার বার সতর্ক করে দেওয়ার পরও তিনি ক্ষান্ত হননি। পরে সংগঠন থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার পরামর্শ করলে,, তিনি নিজে নিজেই পদত্যাগ করেছেন মর্মে ফেইসবুক বা সংগঠন এর গ্রুপে লিখে পদত্যাগ পত্রটি স্টার্টার্স দেন।
এবিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক মেম্বারদের সাথে কথা বলে জানা যায় হোসেন আলী মাস্টার এক সময় বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার কল্যাণ অ্যাসোসিয়েশন নামক বৈধ কমিটিতে ছিলো। কিন্ত সেখানে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠলে সকান থেকে তাকে অব্যাহতি দেয়। এরপর মনু মোল্লা এবং হোসেন আলী মাস্টার নিজেরাই তৈরি করেন বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার অ্যাসোসিয়েশন নামে অবৈধ একটি কমিটি যার নেই বৈধ কোন নথিপত্র ।
জানা যায় আশুলিয়ার ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের মেম্বার হোসেন আলী মাস্টার ও মুনু মোল্লা মিলে এই সংগঠন করে সারা বাংলাদেশে কমিটি দিয়ে আসছে কমিটি খরচ করছেন লাখ লাখ টাকা এই টাকার উৎস কোথায়। আবার এদের নেই কোন বৈধ কাগজ পত্র। তবুও থেমে নেই এরা। এই ব্যাপারে সাধারণ সম্পাদক মনু মোল্লার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার এসোসিয়েশন নামক সংগঠনের সাথে আজ থেকে তার কোন সম্পর্ক নেই বলে প্রতিবেদককে জানান