মাদারীপুরের কালকিনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আশরাফুর রহমান (হাকিম) এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাতে কালকিনির জেলা পরিষদ মার্কেটে মেসার্স শেফালী নেটওয়ার্ক নামে তার মোবাইল ব্যাংকিং, ফেক্সিলোড ও ইন্টারনেটের দোকানে এ চুরির ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাত এগারোটার সময় দোকান বন্ধ করে বাড়ীতে চলে যায় দোকান মালিক সাংবাদিক আশরাফুর রহমান হাকিম। এরপর পরদিন বুধবার সকালে এসে দোকান খুলে দেখতে পায় দোকানের মালামাল এলোমেলো,ক্যাশ খোলা এবং দোকানের দক্ষিন পাশের সিলিং ও ভেন্টিলেটর ভাঙ্গা।
পরে খোঁজ করে দেখা যায় দোকানের ক্যাশ ড্রয়ারে থাকা নগদ ৮ হাজার টাকা, বিভিন্ন সীম কোম্পানীর রিচার্জ ও ইন্টারনেট কার্ড,বিভিন্ন কোম্পানির নতুন ০৫টি বাটন মোবাইল সহ মোট প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেছে। রাতের যেকোনো সময় এ চুরি সংগঠিত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে দোকান মালিক সাংবাদিক হাকিম বলেন,”আমি গতকাল দোকান ভালভাবে তালাবদ্ধ করে রেখে বাড়িতে যাই।আজ(বুধবার) সকালে এসে দেখি দোকানের পিছনের দিকের ভেন্টিলেটর ও সিলিং ভাঙ্গা।পরে খোঁজ করে দেখি দোকানের প্রায় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেছে।
দোকানের পিছনের দেয়াল ঘেঁষে পুরোনো কিছু ইট রেখেছিল স্থানীয় রাজ্জাক সরদার নামে একলোক।তাকে বারবার এসব ইট সরিয়ে ফেলতে বললে তিনি জানান জেলা পরিষদের অনুমতি নিয়ে ওখানে তিনি ইট রেখেছেন। আজ এই ইটগুলো এখানে না থাকলে চোরেরা আমার দোকানে চুরি করতে পারতো না।
এই ইট বেয়েই উপরে উঠে ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে দোকানে চোর ঢুকেছে।থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।আমি চাই দ্রুত এই চোর চক্রকে গ্রেফতার করা হোক।” জেলা পরিষদ মার্কেটের দেয়াল ঘেঁষে পুরোনো ইট রাখার অনুমতির বিষয়ে জানতে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা ইয়াসমিন আক্তারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,”ওখানে ইট রাখতে কোন অনুমতি দেয়া হয়নি।
বরং যিনি ইট রেখেছেন তাকে ইট সরিয়ে নিতে কয়েকবার বলা হয়েছে।এরপরও তিনি ইট সরিয়ে নেয়নি।আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।” এদিকে কালকিনি থানার ২’শ গজের মধ্যে এই চুরির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের ভিতরে আতংক বিরাজ করছে। এব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন জানান,”অপরাধীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশাকরি। তবে বাজার কমিটি রাতে পাহারা বসালে চোরদের ধরা আরো সহজ হতো।” ভবিষ্যতে চুরি ঠেকাতে পুলিশের টহল আরো বৃদ্ধি করা হবে বলেও জানান ওসি শামীম হোসেন।