বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নবাগত ডিসির সাথে সদর উপজেলা কর্মকর্তাদের মতবিনিময় ড. মিজানুর রহমান আজহারীর প্রার্থিতা নিয়ে প্রকাশিত খবরটি গুজব লেবাননের বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বিমান হামলা সংঘটিত হয়েছে মুশফিকের ক্যারিয়ারের মাইলফলক শততম টেস্টকে সামনে রেখে কী মন্তব্য করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা অবৈধ মোবাইল ফোন বন্ধের বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দিলেন ফয়েজ তৈয়্যব দিল্লিতে অজিত দোভালের সঙ্গে খলিলুর রহমানের সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে রংপুর বিভাগীয় বই মেলা বর্জন তারেক রহমানকে কটূক্তির অভিযোগে এক কনটেন্ট নির্মাতার বিরুদ্ধে মামলা গাজীপুরে কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট মুকসুদপুরে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে কিশোর নিহত

লক্ষ্মীপুরে অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যান বহিষ্কৃত

সোহেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৩১৪ Time View
40

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৫নং পার্বতীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আজ রোববার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরান হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান ওয়াহিদুর রহমান ২০২১ইং সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন।

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরান হোসেন জানান, ওয়াহিদুর রহমান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন অনিয়ম করেছেন। গত বছরের ৩১ জানুয়ারি তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নানা দুর্নীতি, অনিয়ম, অসদাচরণ করে আসছেন।

এমনকি পরিষদে কোনো সভা করেননি তিনি। নির্বাহী অফিসার আরও জানান, বিভিন্ন বরাদ্দে ইউপি সদস্যদের অন্তর্ভুক্ত না করে এবং কোনো সভা না করে প্রকল্পে মেম্বারদের নাম ব্যবহার করে ভুয়া স্বাক্ষরের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন ওই চেয়ারম্যান।

নির্বাহী অফিসার ইমরান হোসেন জানান, ২০২১-২২ইং অর্থবছরের অতিদরিদ্র কর্মসংস্থান কর্মসূচির ৮২ জন শ্রমিকের অনুকূলে ২৬ লাখ ২৪ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে। চেয়ারম্যান প্রকৃত শ্রমিকদের নামে বিকাশ অ্যাকাউন্ট না খুলে নামে-বেনামে অ্যাকাউন্ট খুলে সে টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

একই অর্থ বছরের টিআর, কাবিখা, কাবিটা বরাদ্দের দুই কিস্তির ১০ লাখ টাকা নামমাত্র প্রকল্পে ব্যয় দেখিয়েছেন। কোনো ধরনের সভা ছাড়াই চেয়ারম্যান অবৈধ সুবিধা নিতে এডিপি খাতের ১০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রকল্প তালিকা দাখিল করেন। এ ছাড়া হোল্ডিং ট্যাক্স ও ট্রেড লাইসেন্স বাবদ আদায়কৃত দুই লাখ টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে চেয়ারম্যান আত্মসাৎ করেছেন।

এসব ঘটনায় ১২ জন সদস্যের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের ১০ সদস্য তার বিরুদ্ধে দরখাস্ত দেন। ইমরান হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যরা অনাস্থা দিয়েছেন।

তদন্তে তা প্রমাণিত হওয়ায় অনাস্থা প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। তারই আলোকে আজ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে ওই পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।’ এই বিষয়ে ওয়াহিদুর রহমান বলেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতি করিনি।’ এই নিয়ে আদালতে শরণাপন্ন হবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category
Adsense