খুলনা ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের এক বছর পার হলেও এখনো তার ক্ষত রয়ে গেছে সুন্দরবনে। ইয়াসের তাণ্ডব কেমন ছিল তা সুন্দরবনে পড়ে থাকা গাছ দেখলে বোঝা যায়। ইয়াসে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস আর বাতাসে অসংখ্যা গাছের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে সুন্দরবনের অবকাঠামোর।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, গত বছরের ২৬ মে দেশের উপকূলে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। এতে সুন্দরবনের গাছ ও অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অবকাঠামোর মধ্যে জেটি, টহল ফাঁড়ি, ব্যারাক অফিস, কাঁচা রাস্তা বিধ্বস্ত হয়েছে। বন বিভাগের অভ্যন্তরে মিঠা পানির পুকুরে প্রবেশ করেছিল লবণ পানি। বিস্তৃর্ণ বনের বড় বড় গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
গোড়া থেকে মাটি উপড়ে ভেসে যায় অনেক গাছ। সরেজমিনে সুন্দরবন ঘুরে দেখা যায়, কটকা ও জামতলিতে অসংখ্য গাছ মরে শুকনা কাঠ হয়ে পড়ে রয়েছে মাটিতে। বহু গাছ মাটিতে ভর করে দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু তাতে নেই প্রাণ। খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, গত বছর ইয়াসে সুন্দরবনের বিস্তৃত এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিশেষ করে বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী কটকা, কচিখালী, নীলকমল ও মান্দারবারিয়া এলাকায় ঘর-বাড়ি, পল্টন, জেটি, মিঠা পানির পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কটকা ইকোট্যুরিজমে ব্যাপক গাছ উপড়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইয়াসে যে সমস্ত অবকাঠামোগত ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছিল সেগুলো বন বিভাগ থেকে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে। ইয়াসের ফলে বন বিভাগের ১ কোটি ৭৫ লাখ টাকার অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে। তবে গাছপালা বিস্তৃর্ণ এলাকায় পতিত হওয়ায় এবং সব জায়গায় প্রবেশাধিকার না থাকায় কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে সেটা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোর উন্নয়নে কাজ চলছে।
Leave a Reply