ফরিদপুরের সালথায় ট্রলি ও ভেকুর দৌরাত্বে ফসলি জমি কেটে পুকুর খননের হিড়িক লেগেছে। তেমনি নষ্ট হচ্ছে কাচা ও পাকা সড়কগুলো, কোন ভাবেই থামানো যাচ্ছে না দানব এই গাড়ী ট্রলিকে।
সড়কে বেড়েছে দূর্ঘটনা এই উপজেলায় প্রতিনিয়ত কোন না কোন জায়গায় শোনা যায় ট্রলির সাথে অন্য কোন বাহনের দূর্ঘটনার খবর। গত এক বছরে ট্রলির সাথে ধাক্কা খেয়ে প্রান গেছে অনেকের, অনেকেই পঙ্গুত্ব বরন করেছে, অনেকেই হয়েছেন গুরুত্বর আহত।
আর এসবের মূল কারন হচ্ছে অপ্রাপ্ত বয়সের ছোট ছোট ছেলেদের দিয়ে কম বেতনে এসব গাড়ি চালানো হয়। তাদের নেই কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স, নেই কোন কারিগরি প্রশিক্ষন।
কারও দেখাদেখি চালানো শিখেই হাতে নিয়ে নেয় এই দানব গাড়ি ট্রলি। তেমনি হাইড্রলিক হরেন বাজিয়ে শব্দ দূষন সৃষ্টি করছে। পথচারী শিশু ও বয়স্কদের প্রচুর ক্ষতিসাধিত হয় এই হর্নের বিকট শব্দে।
মাটি খেকো এই ব্যবসায়ীরা জমির মালিকদের পটিয়ে ভূলভাল বুঝিয়ে মাটি ক্রয় করে চড়া দামে অন্যত্র বিক্রি করছে। ফলে খনন হচ্ছে পুকুর, একদিকে যেমন মাটি ও বালু মহল আইনকে তারা বৃদ্ধাগুলি দেখাচ্ছে, অন্যদিকে দিন দিন ফসলি জমি নষ্ট হচ্ছে।
এলাকার বয়জৈষ্ঠরা বলছে,এভাবে চলতে থাকলে এক সময় ফসল ফলানোর জায়গা থাকবে না। ভবিষ্যতে খাদ্য সংকট দেখা দিবে।জমির মালিকগন আপসোস করবে কেন উর্বর এই জমি নষ্ট করেছি।
ফসলী জমি, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও প্রানহানী রোধে এসব যানবাহনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা না নিলে অচিরেই চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে সাধারন মানুষের।
মাঝে মধ্যে উপজেলা প্রশাসন এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা জেল,জরিমানা করলেও,কিছুদিন পর আবার অন্য কোথাও গিয়ে শুরু করে সেই একই কাজ। ফসলি এই কৃষি জমি বাঁচাতে প্রশাসনের আরো কঠোর হতে হবে বলে অভিমত দিয়েছেন বিশিস্টজনেরা।
সালথা উপজেলা নির্বাহী মোছা: তাছলিমা আক্তার বলেন, ফসলি জমি কেটে মাটির বিক্রির খবর পেলেই আমরা সেখানে ছুটে যাই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করি। বিভিন্ন সময় আমরা এই বেকু ও ট্রলির কিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করি। আর এই অভিযান অব্যহত থাকবে। আজিজুর রহমান
Leave a Reply