ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরে গেল দুই বছর করোনায় দৈনন্দিন জীবন ছন্দপতনে পড়ে। কর্মহারিয়ে বেকার হয়ে যায় অনেক মানুষ। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার সাথে সাথে মানুষের চেষ্টা এখন ঘুরে দাড়ানো। কিন্তু বার বারই পণ্য মুল্যের উর্ধ্বগতি যেন থামিয়ে দিচ্ছে তাদের ঘুরে দাড়ানোর সে চেষ্টাকে।
এসে গেছে মুসলিমদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান। রমজানে বেড়েছে সকল ধরনের নিত্যপণ্যের দাম।এই মুল্য বৃদ্ধি মানুষের দুর্ভোগের মাত্রাকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বাজরে গিয়ে টাকার সাথে সামঞ্জস্য না হওয়াই নির্ধারিত পরিমাণের থেকে কম পণ্য কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে অনেককেই।
রমজানের আগের দিন প্রথম বাজারে পৌর শহরের টবাজার,মাছবাজার,কলেজ স্টান্ড, মেইনস্টান,বলুহর স্টান,বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায় শষা,বেগুন,ধনেপাতা, লেবু,মরিচের দাম কেজিতে বেড়েছে গড়ে ৩৫ টাকা।তবে স্বাভাবিক রয়েছে ছোলার দাম,কমেছে পেয়াজের দাম।অন্যদিকে রমজানকে ঘিরে সব ধরনের মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩০থেকে ৫০টাকা।
পবিত্র রমজানকে ঘিরে,কেজিতে ২৫ টাকা বেড়ে শষা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা, বেগুন ২০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা,ধনেপাতা ৪০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে গড়ে ১শ’ থেকে ১শ’ ৫০ টাকা,লেবুর দাম হালিতে ২৫ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা।বর্তমানে পেয়াজের দাম কেজি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে।
ছোলার দাম স্থিতীশীল রয়েছে। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা দরে।এদিকে তেলাপিয়া,শিং,রুই,ইলিশ সহ সব মাছের দাম কেজিতে বেড়েছে গড়ে ১০ টাকা থেকে ১শ’ টাকা।শহরের টবাজারে পণ্য কিনতে আসা মোঃ আব্দুল হালিম জানান,রমজান শুরু হয়েছে কিন্তু বাজার দাম কমেনি বরং বেড়েছে,সব মালের দাম আগুন আমরা চলবো কি করে (৪ই এপ্রিল) সোমবার সরজমিনে যেয়ে দেখা যায়,বেগুন কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা,মরিচ ৬০,শষা ৭০,লেবু হালি ৪৫ টাকা,ধনেপাতা ১৫০ টাকা কেজি,পেপে ২৫ টাকা,টমেটো ২৫ টাকা,লাউ পিচ ৩০ টাকা,মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা,পটল ৭০ টাকা কেজি,এভাবে সব জিনিসের দাম বেড়েছে,পবিত্র মাসে দাম কমানো উচিৎ,অথচ বাজারে দাম বেড়েই যাচ্ছে।
এভাবে তো চলতে পারে না।পণ্য মুল্যের কাছে হার মেনে যাচ্ছি।অপর ক্রেতা মোঃ মুকুল হোসেন জানান,বাজারে যে উর্ধ্বগতি এটা নিয়ন্ত্রনে প্রশাসনের নজদারি প্রয়োজন।এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী আছে যারা প্রতি বছরই এমন সুযোগ কাজে লাগায়। তাদের কাঠোর ভাবে দমন করা প্রয়োজন। অন্যথায় এক সময় হয়তো পুরোপুরি ভাবেই আমরা তাদের কাছে জিম্মি হয়ে যাবো।
তবে ছোলার দাম বাড়েনি,মোটামুটি সব জিনিসের দাম স্বাভাবিকই রয়েছে।ক্ষেত থেকে চাষীরা নতুন পেয়াজ বাজারে আনছে ফলে সরবরাহ বেশী থাকায় হয়তো আরো দু-এক টাকা কমতে পারে। পবিত্র মাহেরমজানকে ঘিরে কোন অসাধু ব্যবসায়ী যেন নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মুল্য বাড়াতে না পারে,স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সাধারণ মানুষ।
আলোকিত জনপদ ফেসবুক পেইজটি ফলো করুন
https://www.facebook.com/alokitojanapad
আলোকিত জনপদ টুইটার আইডিটি ফলো করুন
https://twitter.com/alokito_janapad
দেশ বিদেশের সব খবর সবার আগে জানতে আলোকিত জনপদ ইউটিউব চ্যানেলের সাথেই থাকুন।
ভিডিওগুলো মিস করতে না চাইলে এখনই আলোকিত জনপদ এর ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং বেল বাটন ক্লিক করুন।
বেল বাটন ক্লিক করার ফলে আপনার স্মার্ট ফোন বা কম্পিউটারে সয়ংক্রিয়ভাবে ভিডিওগুলোর নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে।
আলোকিত জনপদ এর ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন
https://www.youtube.com/channel/UCNzUOMDlhwvg5q6Mu_x3khQ
Leave a Reply