সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০৪:১১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
এবার হাসপাতালে প্রবাসীর স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালাল শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা খালি পেটে কখনো কোন কাজ করা ঠিক নয় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ: এনবিআর অচল, রপ্তানি কার্যক্রম ঝুঁকির মুখে একদিনে আরও ২৬২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১ জন ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালির ঝলমলে ক্যারিয়ারের আড়ালে লুকানো বিষাদের অধ্যায় মেজর লিগ ক্রিকেটে এবার নাটকীয়তার চূড়ান্ত, শেষ বলেই ছক্কা মেরে রুদ্ধশ্বাস জয়! রানওয়েতে কালো ভাল্লুক, বাতিল এক ডজন ফ্লাইট এনবিআরের শাটডাউন: সারা দেশে আমদানি-রপ্তানি ও শুল্ক-কর সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত একসঙ্গে কতটি কোয়েলের ডিম খাওয়া নিরাপদ? হিরো আলম ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে, ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে

লক্ষ্মীপুরের আদালতের স্ত্রী হত্যার দায়ে এক স্বামীর আমৃত্যু কারাদণ্ড

সোহেল হোসেন লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি
  • Update Time : বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২
  • ২৭০ Time View

লক্ষ্মীপুর রামগতি উপজেলাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে স্ত্রী মমতাজ বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী বশির মিস্ত্রিকে (৬০) আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তার এক হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়।

বুধবার ২৩/০৩/২২ইং বেলা ১১ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ রহিবুল ইসলাম এই রায় দেন। জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, স্ত্রী হত্যার ঘটনা আদালতে বশির দোষী সাব্যস্ত করেছে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত বশির রামগতি উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের চরগাজী ইউনিয়নের দক্ষিণ টুমচর (আদর্শ গ্রাম) গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে। রায় ঘোষণার পর বশিরের চোখে মুখে চাপা আতঙ্ক দেখা গেছে। ঘোমড়া মুখেই পুলিশের সঙ্গে কিছু একটা বলছিল। যেন তার আকাশজুড়ে আঁধার নেমে এসেছে। রায়ের সময় তার কোন আত্মীয়-স্বজনকে আদালতে দেখা যায়নি।

এজাহার সূত্র জানায়, ২০০৬ইং সালে নোয়াখালী জেলার চরজব্বার ইউনিয়নের চরপানা উল্যা গ্রামের আলী হোসেনের মেয়ে মমতাজকে বশির বিয়ে করে। এটি বশিরের দ্বিতীয় বিয়ে ছিল। প্রথম সংসারে তার দুই ছেলে ও চার মেয়ে ছিল। বশির-মমতাজের সংসারেও হোসেন আহম্মদ ও আপন নামে দুই ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে মমতাজকে বশির মারধর করতো।

ঘটনাগুলো মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে একাধিকার সালিসি বৈঠকও করা হয়। এরপরও মমতাজকে মারধর বন্ধ করা হয়নি। বিভিন্ন সময় মমতাজ পরিবারের লোকজনকে ফোন দিয়ে কান্না কাটি করতো। বশিরের আগের সংসারের ছেলেমেয়েরা মমতাজকে ভালো চোখে দেখতো না।

এই দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে ২০১৬ইং সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে মমতাজকে বশির ঘর থেকে ডেকে বাড়ির অদূরে সয়াবিন ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। মমতাজের ডান গাল ও গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। পরে বশির সেখান থেকে স্থানীয় টাংকি বাজারে যায়।

সেখান থেকে ফিরে বাড়িতে স্ত্রীকে খোঁজার নাটক করে। নিজেই সয়াবিন ক্ষেতে লাশ খুঁজে নিয়ে প্রচার করে কে বা কারা মমতাজকে হত্যা করেছে। কিন্তু ঘটনাটি সন্দেহজনক হওয়ায় স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।

পরদিন মমতাজের ভাই মো. জসিম বাদী হয়ে বশির ও অজ্ঞাত ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৭ইং সালের ১৪ জানুয়ারি রামগতি থানা পুলিশ আদারতে বশিরের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। দীর্ঘ শুনানি ও ৮ আট জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এই রায় দেয়।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense