শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ কালকিনিতে প্রধান শিক্ষকের অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল সবজির দামে স্বস্তি, চড়া ডিম মুরগির বাজার বিডিআর বিদ্রোহের দিন কী ঘটেছিল, জানালেন সাবেক সেনাপ্রধান মইন জাতিসংঘ অধিবেশনে ড. ইউনূসের সফরসঙ্গী হচ্ছেন যারা ৫ আগস্টের পর আরেকটি দল লুটের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে: ফয়জুল করীম লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন কোটালীপাড়ায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন হাসিনা সরকারের পতনের এক মাস পূর্তিতে রংপুরে শহীদি মার্চ পালন ডিএমপির ১১ উপপুলিশ কমিশনারকে বদলি

নাটোরে নকল মবিল কারখানায় অভিযান জরিমানা

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২০
  • ১৬৬ Time View

নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ নাটোর শহরের উপশহর এলাকায় পরিত্যাক্ত বেকারির আড়ালে একটি নকল মবিল তৈরীর কারখানার সন্ধান পেয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে প্রতিষ্ঠানটিকে জরিমানা করা হয়। এছাড়া ওইখান থেকে ভেজাল লুব্রিক্যান্ট উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিলেন জহুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। স্থানীয় বনপাড়ার এ জি অয়েল সাপ্লাইয়ার এন্ড লুবরিকেন্ট থেকে মবিল তৈরীর উপকরণ সংগ্রহ করতেন তিনি। গত বৃহষ্পতিবার এই অপরাধে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৪৩ ধারায় ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ব্যবসায়ী জহুরুলের স্ত্রী রোজিনা বেগমকে। জহুরুলের স্ত্রী রোজিনা বেগম জানান, কারখানা ভবনের মালিক আমিনুল হক। তিনি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক। জানা যায়, প্রায় বছরখানেক আগে লোকসানের কারনে জহুরুল বেকারি ব্যবসা বন্ধ করে দেন। কিন্ত করোনার শুরুতে পরিত্যক্ত ওই বেকারির ভেতরের একটি কক্ষে বড় একটি কড়াইয়ে বিভিন্ন উপাদানের মিশ্রণে নকল মবিল তৈরী করতেন। অভিযানকালে মবিল তৈরীর কড়াই, রং, বিভিন্ন রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থসহ নানা রকম সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। সবশেষ কারখানাটি সিলগালা করা হয়। এসময় জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন ভবন মালিক আমিনুল হকের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর। পরিশোধকালে তিনি দাবী করেন, কারখানার ভেতরে নকল মবিল তৈরীর বিষয়টি তারা জানতেন না। শুধু বেকারির জন্যই ভাড়া দেয়া হয়েছিল ভবনের দুইটি ঘর। এদিকে, আবাসিক এলাকায় মবিল কারখানার শব্দে প্রতিনিয়তই দুর্ভোগে পড়তেন পাশ্ববর্তী এলাকাবাসী। পাশাপাশি দাহ্য পদার্থ থাকায় অগ্নিকান্ডের ঝুঁকিও ছিলো। অভিযানের পর তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান বলেন, আবাসিক এলাকায় এই ধরনের কারখানা বিপজ্জনক। বড় দুর্ঘটনা বা অগ্নিকান্ড হলে প্রাণহানির ঝুঁকি ছিলো। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category