আজ ১৬ ই ডিসেম্বর স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী।রাজৈরে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের সাথে দিনটি পালন করা হয়।
আজকের এই দিনে পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখণ্ডের নাম জানান দেয়ার দিন। এ ছাড়া আজকের দিনে বাঙালি জাতি বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে নতুন করে অঙ্গীকার করবে। আজকের এই দিনে হানাদার বাহিনী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিত্রবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের।
বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে রাজৈর উপজেলা ময়দানে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা, সকালে উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন সংগঠনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সাধারণ মানুষের বিজয় র্যালি, সকাল ৮টায় রাজৈর উপজেলা চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিভিন্ন বাহিনীর কুচকাওয়াজ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ স্কাউটস এবং রোভার স্কাউটসের কুচকাওয়াজ এ অংশগ্রহণ করে।
বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্কাউট, রোভার স্কাউট গবং গার্ল গাইডের সদস্যরা ডিসপ্লে প্রদর্শনী করে। পরে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দিনব্যাপী নানা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় মন্দির, মসজিদ, গির্জাসহ বিভিন্ন উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনা, প্রশাসনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আলোচনা সভা, সন্ধ্যায় উপজেলা চত্বরে আলোকসজ্জা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
দিনটি সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হয়েছে।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজৈর উপজেলা পরিষদ এর (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান বাবুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান, রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সাদী, উপজেলার সকল মুক্তিযোদ্ধা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিরা।