লোহাগড়ার গোপীনাথপুর গ্রামের মরহুম নজির দারোগার জামাই জাকির হোসেন একজন ঔষুধ ব্যবসায়ী (বিএনপি পলাশ এর ভগ্নিপতি) লক্ষীপাশা ঢাকা কাউন্টারের সামনে কামনা স্কুল সংলগ্ন জাকির এর ঔষুধের দোকান ।
লোহাগড়া সি এন্ড বি চৌরাস্তা মোরশেদা ক্লিনিক মালিক মোঃ জাকির হোসেন এর ছেলে শাহাব( ১৩) তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার সময় কোন এক বন্ধু ধুমপান করতে ছিল তখন ঔষধ ব্যবসায়ী জাকির হোসেন শাহাব কে ডেকে বলে তুমি ধূমপান করছো? তোমার আব্বু আম্মুকে বলে দিবো, তখন শাহাব ঔষুধ ব্যবসায়ী জাকির কে অনুরোধ করে বলেন যে ভাইয়া আব্বু আম্মুকে বলবেন না, আমি ধুমপান করি নি আমার বন্ধুরা করেছে।
শাহাব এর অনুরোধ শুনলেন কিন্তু শর্ত সাপেক্ষে, কি শর্ত ছিল শাহাব এর উপর? শাহাব তুমি তোমার বাবার ক্লিনিক থেকে ঔষুধ এনে দিবা ৬০% এর টাকা তোমার ৪০% এর টাকা আমার, তখন শাহাব ঔষুধ ব্যবসায়ী জাকির হোসেন এর দেওয়া শর্ত মেনে নিল। শাহাব চিন্তা করলো আমি ছোট মানুষ ধুমপান করার কথা যদি আব্বু আম্মুকে বলে দেয় তাহলে আব্বু আম্মু আমাকে মারধর গালিগালাজ করবে।
তার পর শুরু হলো সপ্তাহে দুই তিন দিন ঔষধ দেওয়া। ক্লিনিক থেকে স্কুলব্যাগে ওষুধ এনে ওষুধ ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের ফার্মেসিতে দেওয়া শুরু হলো। এমন করে প্রায় এক লক্ষ তিন হাজার টাকার ঔষধ দেয়। মোরশেদা ক্লিনিক এর মালিক রোগীদের ঔষধ আনার জন্য ঔষুধের স্টোরে প্রবেশ করে দেখে অনেক টাকার ওষুধ স্টোর থেকে গায়েব।
তখন ছেলে শাহাব কে জিজ্ঞাসা করে ঔষুধ গুলো গেল কোথায়? শাহাব শিকার হলো না অবশেষে রুমের ভিতরে শাহাব কে আটকিয়ে কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে এক পর্যায়ে স্বীকার করে বলেন, ঔষুধ ব্যবসায়ী জাকির হোসেন ও শাহাব এর পুরা নাটকীয় গল্পটি ।
অবশেষে জাকির হোসেনের ফার্মেসির সামনে উপচে পড়া জনতার ভিড়, পুলিশ হাজির হল, ঔষুধ সেজার লিস্ট হলো এবং জাকির হোসেন কে হাতে হাতকড়া লাগিয়ে থানা হাজতে নিয়ে গেল পুলিশ। এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি । মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply