হঠাৎ করে মেহেরপুরের প্রতিটা জনপদে চাহিদা কমেছে ডাবের। জেলার সদর, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলার প্রতিটা গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ঘুরে এটাই চোখে মেলে। ক্রেতা সংকটের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছে প্রতিটা ডাব ব্যবসায়ী।
প্রচন্ড তাপদাহে রমজানের শুরু থেকে ডাবের চাহিদা ছিলো আকাশ ছোঁয়া। তখন বাজারে ডাবের দামও ছিলো অনেক বেশি। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যায় ডাব।
রোজার শেষ দিকে এসে মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলার প্রতিটা জনপদে বৃষ্টি হওয়ায় তাপদাহ কমে গেছে ও ৭০/৮০ টাকা পিচ ডাব না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সাধারণ মানুষ।
এতে ডাবের বিক্রয়ও কমে গেছে। জেলার গাংনী উপজেলার বানিয়াপুকুর গ্রামের ডাব ব্যবসায়ী লিটন জানান, নানা কারণে কমে গেছে ডাবের বাজার মূল্য।
এর ফলে ক্রয়কৃত/মজুদকৃত ডাব নষ্ট হবার পথে। হঠাৎ ডাবের চাহিদা কমে গেছে এর কারণ জানতে চাইলে ভাটপাড়া নীলকুঠি এলাকার জৈনক ডাব ব্যবসায়ী জানান, প্রচন্ড তাপদাহ কমে গেছে তাছাড়া রমজানের শেষ মূহুর্তে সবাই এখন ঈদের কেনাকাটার দিকে ঝুঁকেছেন।
যে কারণে ডাবের চাহিদা কমেছে। প্রতি পিচ কতটাকায় বিক্রি করছেন জানতে চাওয়া হলে কেদারগন্জ বাজারের জৈনক ডাব ব্যবসায়ী জানান, বর্তমানে ৫০ টাকা করে বিক্রি করছি তবুও বিক্রি হচ্ছেনা।
মনে হচ্ছে, কেনা দাম ৩৫/৪০ টাকাতেও বিক্রি হবেনা। সপ্তাহ খানেক পূর্বে যা বিক্রি হতো তার অর্ধেক ও বিক্রি হচ্ছেনা। এমতবস্থায় ডাব ব্যবসায়ীদের মাথায় হাত। মজুদে যেগুলো আছে তাই বিক্রি করতে পারলেই বাঁচি বলে জানান তিনি।