নড়াইলের লোহাগড়ার ইতনা ইউনিয়নের, ইতনা গ্রামের চর পাড়ার ১৪ বছরের এক নাবালিকা মেয়েকে বিবাহ দিয়েছে মেয়ের মা সালমা বেগম। ছেলে টির বাড়ি ডিগ্রির চর আনোয়ারের ছেলে সজলের সাথে।
আলভী কে সাংবাদিক গন, এই অপ্রাপ্ত বয়সে বিবাহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে আলভী বলেন আমি পড়ালেখা করতে চায় কিন্তু আমার মা বাবা পরিস্থিতির শিকার হয়ে আমাকে বিবাহ দিয়েছে।
আমি নাবালিকা সত্বেও আমার মা বাবা আমার বিবাহ ঠিক করেন এবং ইতনা বাজারের পাশে ইসমাইল শেখ এর ছেলে ইসলাম শেখ এর শরণাপন্ন হন, কি ভাবে বিবাহ টা সম্পূর্ণ করা যায় ,কারণ সরকারি ভাবে তখন আমার বিবাহর বয়স হয় নাই।
তখন ইসলাম শেখ ডিগ্রিরচর থেকে একজন মৌলভী এনে আমার বিবাহ দেয়। ○৭ম শ্রেণী পড়ুয়া ওই নাবালিকা মেয়ে বলেন আমার গ্রামের কিছু অ মানুষের কু নজরের কারণে আমার মা বাবা আমাকে পড়ালেখা না করায় বিবাহ দিয়েছে।
আলভী কেঁদে কেঁদে বলেন ইতনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টগর এর ইট ভাটার পাশে রত্নার বাড়ি। রত্না কে হাবি শেখ ম্যানেজ করে আমাকে ডেকে আনে।
এবং হাবি শেখ এর হাতে জোর করে তুলে দেয়। আলভী বলেন তখন হাবি শেখ আমাকে পাংখার চর একটি কলাবাগানে নিয়ে যায় এবং জোর করে ভয় ভীতি দেখিয়ে আমার সাথে তিন বার শারীরিক সম্পর্ক করে।
আলভীর মা সালমা বেগম কে বিষয়টির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমার মেয়ে কে লম্পট হাবি শেখ এর অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার জন্য নাবালিকা মেয়েকে বিবাহ দিয়েছি ,ডিগ্রির চরের আনোয়ার এর ছেলে সজল এর সাথে।
বিবাহ দিয়ে ও আমরা শান্তিতে নাই, হাবি শেখ এখন ও পর্যন্ত আমার মেয়ে কে পাবার আশায় আমার মেয়ের শশুর বাড়ির আশপাশ দিয়ে ঘুরঘুর করছে। আমার মেয়ে কে সংসার করতে দিবেনা। আমরা মেয়ের সুখ চায়।
Leave a Reply