বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০২:২২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
প্রেসক্লাব টুঙ্গিপাড়ার সহ-সভাপতি মাহবুব বহিষ্কার নরসিংদীতে রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পিছনে সরকারি গাছ কেটে জমি দখল করার অভিযোগ বগুড়ায় হাজী সম্মেলন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে মহানন্দা নদীতে গোসল করতে নেমে দুজনের মৃত্যু নাটোরের সিংড়ায় পুলিশের অভিযানে মটরসাইকেল উদ্ধার ও আটক ২ পানি উন্নয়নের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মান, সরেজমিনে পানি উন্নয়ন কর্মকর্তা ব্যক্তিগত ব্রান্ডিং উন্নয়নের লক্ষ নিয়ে ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আর্ট অফ লিভিং প্রজেক্ট বাস্তবায় গোপালগঞ্জে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহতের খুনিদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবিতে মানববন্ধন হিন্দুদের নির্যাতনের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন লোহাগড়ায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন স্থগিত

গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে

মারুফ সরকার ,ঢাকা
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩০৩ Time View

আমাদের দেশে আমরা প্রায়ই দেখি গ্রাহকের ব্যক্তিগত ফোনালাপ ও তথ্য যত্রতত্রভাবে টেলিভিশন, গণমাধ্যম কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হরহামেশাই প্রকাশিত হচ্ছে। গ্রাহকের ব্যক্তিগত ফোনালাপ তথ্য প্রকাশ করায় গ্রাহকরা সংবিধান ও আইনের নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

আজ গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রাহকের ব্যক্তিগত ফোনালাপ তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা আমাদের সংবিধানে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবিধানের ৪৩(খ) ধারায় বলা আছে, চিঠিপত্রের ও যোগাযোগের অন্যান্য উপায়ে গোপনীয়তা রক্ষার অধিকার থাকবে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এর (২৬ )ধারায় অনুমতি ছাড়া কারো ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ কে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

তাছাড়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকার অনুযায়ী (অনু:১২) নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার হিসেবে আন্তর্জাতিক সনদ (অনু:১৭) জাতিসংঘের কনভেনশন অনুযায়ী (অনু:১৪) এবং শিশু অধিকার সনদ (অনু:১৬) এ প্রাইভেসিকে অধিকার হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০১এর৭১ ধারায় টেলিফোনে আড়িপাতার দন্ডে বলা হয়েছে, কোন ব্যক্তি যদি অপর দুজন ব্যক্তির টেলিফোন আলাপে ইচ্ছাকৃতভাবে আড়ি পাতে, তাহা হইলে প্রথমত ব্যক্তির, এই কাজ হইবে একটি অপরাধ এবং তার জন্য তিনি অনধিক ৫৩ দুইবছর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।

তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৯৭(ক, এর অধীন সরকার হইতে ক্ষমতাপ্রাপ্ত গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা বা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থার কোন কর্মকর্তার ক্ষেত্রে এই ধারার বিধানাবলী প্রযোজ্য হইবে না।

আইনে সুস্পষ্ট বলা রয়েছে গ্রাহকের ফোন আলাপ এবং তথ্য সম্পূর্ণভাবে নিরাপত্তার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। কিন্তু রাষ্ট্র এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রাহকের এই নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

প্রায় সময় দেখা যায় ব্যক্তিস্বার্থ এমনকি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গের সোনাম মান মর্যাদা ক্ষুন্ন করতেই ব্যক্তিগত টেলিফোন আলাপ প্রায় প্রচার এবং প্রকাশিত হচ্ছে।

যা অত্যন্ত বিপদজনক। এ ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে এই শিল্পের প্রতি মানুষের বিন্দুমাত্র নিশ্চয়তা এবং নিরাপত্তা হারাবে। ফলে এই এই সেবার বিমুখ হতে পারে গ্রাহকরা।

সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত হবে সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ফোন কল প্রকাশকারী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সাথে সাথে গ্রাহকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category