আজ বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, সিরাজগঞ্জের ম্যাটসে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো “আইএইচটি রাজশাহী-৯৬ ব্যাচ পুনর্মিলনী-২৫”। এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেন ব্যাচের প্রাক্তন শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠান শুরু হয় সকাল ১০টায়। প্রথমে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়, এরপর পবিত্র গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে মিলনায়তনে অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
প্রথম পরিচিতি পর্বের সঞ্চালনা করেন আয়োজক কমিটির প্রধান হুমায়ূন কবীরের বড় মেয়ে হুমায়রা কবীর। অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন হুমায়ূন কবীরের ছোট মেয়ে হিমি। কবিতা আবৃত্তি করেন সিরাজগঞ্জ ম্যাটসের টিউটর তরিকুল ইসলামের মেয়ে তাকির, সাথে তরিকুল ইসলাম নিজেও একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। এছাড়া সংগীত পরিবেশন করেন প্রাক্তন শিক্ষার্থী সবুজ, আর কৌতুক উপস্থাপন করেন হুমায়ূন ও মাজেদুল।
নাচ, গান, কবিতা ও কৌতুকের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য বিনোদনের আয়োজন করেছেন। সকালবেলায় সবার জন্য পরিবেশিত গরম খিচুড়ি ও ডিমের রসনা সকলের মন জয় করে নেয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা শীতকে উপেক্ষা করে বন্ধুত্বের অমলিন স্পর্শ পাওয়ার আশায় উপস্থিত হন। খাগড়াছড়ি, দিনাজপুর, নওগাঁ, রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, শেরপুর, পাবনা, টাঙ্গাইল, ঢাকা, মাদারীপুর, বাগেরহাটসহ দেশের নানা জেলা থেকে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন।
অনুষ্ঠানিক পোশাক হিসেবে অংশগ্রহণকারীরা হালকা সবুজ রঙের পাঞ্জাবি ও শাড়ি পরেছিলেন, যা পুরো মিলনমেলাকে এক সুন্দর রঙের সুষম দৃশ্যে রূপান্তরিত করেছে।
দুপুরের খাবারে গরম পোলাও ভাত, পাঁচমিশ্রিত তরকারি, চিকেন রোস্ট ও সুস্বাদু খাসির মাংসের সঙ্গে সিরাজগঞ্জের বিখ্যাত দই পরিবেশন করা হয়। খাওয়ার পর প্রাক্তন শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর আলম অতিথিদের জন্য একটি করে বই ও একটি গেঞ্জি উপহার হিসেবে প্রদান করেন, যা অনুষ্ঠানের আনন্দ আরও বৃদ্ধি করে।
পুনর্মিলনীতে উপস্থিত ছিলেন রংপুরের রেজাউল ইসলাম, গাইবান্ধার মাজেদুল ও ফিরোজ কবির, সৈয়দপুরের লিটন, সিরাজগঞ্জের হুমায়ূন, তরিকুল, রবিউল, ইদ্রিস আলী ও বিপ্লব, টাঙ্গাইলের আলমগীর ও জাহাঙ্গীর, যশোরের আব্দুর রশীদ, পাবনার মতিউল ও শহিদুল, নোয়াখালীর টি আলম, বাগেরহাটের জুলেখা ও তৃপ্তি দেবনাথ, মাদারীপুরের সুলেখা, দিনাজপুরের নাসরিন প্রমুখ প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
অনেক প্রাক্তন শিক্ষার্থী আবেগে আপ্লুত হয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে পরিচিতি পর্ব শেষ করেন। এদিন সকলের মধ্যকার একটাই আকাঙ্ক্ষা—সময় শেষ হোক, কিন্তু বন্ধুত্ব অটুট ও অমলিন থেকে যাক। এই মিলন যেন চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকে সবার হৃদয়ে।
মন্তব্য করুন