
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
এই আসনটি, যা সরাইল, আশুগঞ্জ ও বিজয়নগর উপজেলার কিছু এলাকা নিয়ে গঠিত, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের সমঝোতা অনুযায়ী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশকে দেওয়া হয়েছে। দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখানে বিএনপি প্রার্থী না থাকলেও রুমিন ফারহানা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব ও জেলা বিএনপির সদস্য এস এন তরুণ দে এবং জেলা বিএনপির সদস্য আক্তার হোসেনও এই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার পরিকল্পনা করেছেন।
গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, জোটগত সমঝোতার অংশ হিসেবে চারটি আসন জোটসঙ্গী দলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং ওই আসনগুলোতে বিএনপি কোনো প্রার্থী দাঁড় করাবে না। তিনি আরও বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সমঝোতার অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব ‘খেজুর গাছ’ প্রতীকে প্রার্থী হবেন।
এর আগে বিএনপি ২৭২টি আসনের প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন ফাঁকা ছিল। স্থানীয় নেতাকর্মীরা ধারণা করেছিলেন যে আসনটি জোটসঙ্গী দলের জন্য রাখা হয়েছে। তবে রুমিন ফারহানা নির্বাচনী কার্যক্রম চালিয়ে গেছেন।
গত শুক্রবার সরাইল উপজেলার বিটঘর বাজারে আয়োজিত দোয়া ও মতবিনিময় সভায় রুমিন ফারহানা বলেছেন, “আমি ২০১৫ সাল থেকে এই আসনে বিএনপির হয়ে কাজ করছি। এখানকার মানুষের সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেব।”
তরুণ দে ও আক্তার হোসেন জানান, খেজুর গাছ প্রতীকের কোনো শক্তিশালী জনসমর্থন নেই। দীর্ঘদিন ধরে তারা মাঠের রাজনীতিতে সক্রিয়, এবং আসন্ন নির্বাচনে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই করতে চান।
তবে স্থানীয় নেতারা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মানার পক্ষে। সরাইল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরজ্জামান লস্কর তপু জানান, তারা দলীয় নির্দেশনা অনুসরণ করবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৪৪৮ জন। এর মধ্যে সরাইলে ২ লাখ ৮৮ হাজার ৬০৯ জন, আশুগঞ্জে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৯৯ জন এবং বিজয়নগরের দুই ইউনিয়নে ৫৭ হাজার ৭৪০ জন ভোটার রয়েছেন।
মন্তব্য করুন