সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি করা ‘ডেভিল হান্ট ফেইস-২’ মামলায় স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল “দৈনিক শাল্লার খবর ডটকম”-এর প্রকাশক ও সম্পাদক সাংবাদিক বাদল চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সুনামগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করা হলে বিঞ্জ আদালত তার জামিন না মুঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
বাদল চন্দ্র দাস শাল্লা উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের ডুমরা গ্রামের মৃত মাখন লাল দাসের ছেলে। তিনি জাতীয় দৈনিক ‘বাংলার মাটি’ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবেও কর্মরত রয়েছেন এবং ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের হাওর রক্ষা বাঁধের পিআইসি বাস্তবায়ন কমিটির সাংবাদিক প্রতিনিধি ছিলেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার বিকেলে শাল্লা সদরের ঘুঙ্গিয়ারগাঁও বাজার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে বাদল চন্দ্র দাসকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। দীর্ঘ সময় থানায় রাখার পর রাতে তাকে আলোচিত ‘ডেভিল হান্ট ফেইস-২’ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
বাদল দাসের বড় ভাই বাবুল দাস দাবি করেন, বাদলের বিরুদ্ধে থানায় কোনো অভিযোগ বা মামলা ছিল না। তিনি বলেন, “পুলিশ বিকেলে জিজ্ঞাসাবাদের কথা বলে তাকে বাজার থেকে নিয়ে যায়। আমরা থানায় যোগাযোগ করলে জানানো হয়েছিল সাধারণ কিছু বিষয়ে কথা বলে ছেড়ে দেওয়া হবে। কিন্তু রাতে হঠাৎ তাকে এই মামলায় আসামি করে সকালে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।”
এ ব্যাপারে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে শাল্লা থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নবী হোসেন জানান, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে ‘ডেভিল হান্ট ফেইস-২’ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই আজ সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
একজন মাঠপর্যায়ের সংবাদকর্মীকে এমন একটি স্পর্শকাতর মামলায় গ্রেফতারের ঘটনায় স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ ও সুশীল মহলের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মামলার মেরিট এবং বাদল চন্দ্র দাসের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে এই গ্রেফতারের নেপথ্যে কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন