
রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে ক্রিকেটার তোফায়েল আহমেদ রায়হানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। পেস বোলিং অলরাউন্ডার তোফায়েল বাংলাদেশ ‘এ’ দলের খেলোয়াড়। ধর্ষণের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ সম্প্রতি ঢাকার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি ভুক্তভোগীকে একাধিকবার বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করেছেন। গুলশান থানার উপপরিদর্শক মো. সামিউল ইসলাম জানিয়েছেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। সাক্ষীরা আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার সত্যতা প্রমাণ করবেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে তোফায়েলের ফেসবুক পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতে তোফায়েল তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। তরুণী রাজি না হলে বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে তাকে প্রলোভন দেখানো হয়। ৩১ জানুয়ারি হোটেলে নিয়ে আসামি তাকে ধর্ষণ করেন এবং অল্প দিনের মধ্যে বিয়ে করার আশ্বাস দেন। পরে বিভিন্ন সময়ে একইভাবে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে, কিন্তু বিয়ের প্রস্তাব বাস্তবায়ন হয়নি।
ভুক্তভোগী ১ আগস্ট গুলশান থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। এর আগে, ২৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট আসামিকে ছয় সপ্তাহের জন্য আগাম জামিন দেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও আসামি ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করেননি।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ধর্ষণের ঘটনা মামলার ছয় মাস আগে হওয়ায় সরাসরি আলামত পাওয়া যায়নি। তবে হোটেলের রেজিস্টার বুক, গেস্ট বুকিং স্লিপ এবং আসামি ও ভুক্তভোগীর পাসপোর্ট কপি জব্দ করা হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় ভ্যাজাইনাল সোয়াবে বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। তদন্তে প্রথম দিনের ঘটনা, হোটেল বুকিং কপি ও মেডিকেল রিপোর্টের পর্যালোচনায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।
ভুক্তভোগী বলেন, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে। বিষয়টি সমাধানে পরিবারের কাছেও যাওয়া হলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। পরে বিসিবি প্রেসিডেন্টকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, তবে আশ্বাস পাওয়া সত্ত্বেও কোনো পদক্ষেপ হয়নি। তিনি বলেন, “এইভাবে প্রতিনিয়ত সম্মানহানি ও হেনস্তার শিকার হচ্ছি। আমি আদালতে ন্যায় বিচার চাই।”
মন্তব্য করুন