নারী শিক্ষার অগ্রদূতকে তথা বেগম রোকেয়াকে স্মরণ করে অনুষ্ঠিত হলো ‘বাংলাদেশ সাহিত্য-সংস্কৃতি ও বৈষয়িক যাপন গবেষণা কেন্দ্র’ আয়োজিত আলোচনা সভা। দৈনিক উত্তরবাংলার নিবার্হী সম্পাদক ও গবেষণা কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ সক্রিয় আজীবন সদস্য জিনাত রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির আসন অলংকরণ করে বক্তব্য প্রদান করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বহুমাত্রিক লেখক,সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ,সমাজকর্মী, গবেষক ও কবি সৈয়দা রুখসানা জামান শানু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন রংপুর থেকে আগত উক্ত গবেষণা কেন্দ্রের সক্রিয় এবং জ্যেষ্ঠ আজীবন সদস্য রংপুর বেতার খবর পাঠিকা, প্রাবন্ধিক, কবি শাহিদা মিলকি। অনান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠক, সমাজকর্মী, কবি নাসরিন নাজ, প্রবীণ কবি ফাতেমা বেগম, লেখক জুলেখা ওসমান, কবি রানু, ঔপন্যাসিক লায়লা চৌধুরী, কবি অদিতি রায় প্রমূখ। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক তাসনিম তারান্নুম।
দৈনিক উত্তরবাংলা কার্যালয়, দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন মাঠ পর্যায়ের লেখক এবং গবেষকগণ। ‘দৈনিক উত্তরবাংলা’ ও ‘বাংলাদেশ সাহিত্য-সংস্কৃতি ও বৈষয়িক যাপন কেন্দ্রের’ যৌথ আয়োজন ও সহযোগিতায় এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের উপস্থিতিতে গত ৮ডিসেম্বর দিনব্যাপী আলোচনা সভায় উপস্থাপিত হয় সংস্থার চলমান কার্যক্রম, ভবিষ্যত পরিকল্পনা এবং সম্ভাব্য বাস্তবায়ন পদ্ধতি।
এছাড়াও কয়েকটি বিষয়ে বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। উল্লেখযোগ্য- ইতিহাসের পাঠশালায় যেসব প্রবীণ লেখকগণ রয়েছেন এবং তাঁরা সমাজ বির্নিমাণে যে অসামান্য অবদান রেখেছেন বা রেখে চলেছেন তাঁদের সাথে বাংলাদেশের তরুণ লেখক সমাজকে সম্পৃক্ত করে গবেষণায় প্রশংসনীয় অবদান রাখা। প্রধান অতিথি সৈয়দা রুখসানা জামান শানু বলেন, বৈষয়িক যাপন নিয়ে যে গবেষণা সামনে আসবে তা যেন অর্থাৎ এ গবেষণা কেন্দ্রটি বৈশ্বিক দূত হিসেবে কাজ করে এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
তিনি আরো বলেন, আমরা শুধুমাত্র দিবস পালনে বিশ্বাসী নই, আমরা আমাদের কর্মপরিকল্পনাকে বাস্তবে রুপ দেয়ার লক্ষ নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। অনুষ্ঠানের শুরুতে শীতের সকালে ফুল দিয়ে অতিথিগণকে বরণ করে নেয়া হয়। আলোচনা সভা শেষে উক্ত মঞ্চে মাঠ পর্যায়ের লেখকগণের জীবনের গল্প শোনা হয় এরপর স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন