বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ফেনী জেলা ইউনিটের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২২ নভেম্বর) ফেনী সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

দীর্ঘ ১৬ বছর পর আয়োজিত এ উৎসবমুখর নির্বাচনে মোট ১ হাজার ৬৩৮ ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ১৫৬ জন ভোট দেন, যা মোট ভোটারের ৭০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। সংগঠনটির সাতটি পদের জন্য বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন, এনসিপি, এবি পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ৩২ জন প্রার্থী অংশ নেন।

শনিবার সন্ধ্যায় ভোট গণনা শুরু হয়ে রাত ১২টায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষিত ফলে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ফেনী জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন আহমেদ মিস্টার। সেক্রেটারি পদে ৫০৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মুশফিকুর রহমান পিপুল ৪৮৩ ভোট পেয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হন। সেক্রেটারি পদে জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক রশিদ আহমেদ মজুমদার ৩৫৫ ভোট, জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আ ন ম আবদুর রহীম ২৩৩ ভোট এবং ডা. সহিদ উল্ল্যাহ ২৩ ভোট পান।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে পাঁচটি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রাসেল পাটোয়ারী ৪৯০ ভোট, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক শরিফুল ইসলাম অপু ৩৩০ ভোট, জেলা ছাত্রদলের সদস্য মেজবাহ উদ্দিন মিয়াজী ৩২৩ ভোট, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক ওসমান গণি রাসেল ২৯৭ ভোট এবং জেলা যুবদলের দপ্তর সদস্য আল ইমরান ২৯৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। দীর্ঘ দেড় যুগ পর ভোটের মাধ্যমে এ কমিটি নির্বাচিত হলো।

এর আগে ৪২ জন মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও ৩৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন জমা দেন। পরবর্তীতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামায়াত নেতা মেজবাহ উদ্দিন সাঈদ, সদস্য পদে মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন ও এনসিপি সংগঠক আবদুল্লাহ আল জোবায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারী কমিশনার অশোক বিক্রম চাকমা জানান, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে এবং ভোটারদের উপস্থিতিও ছিল স্বতঃস্ফূর্ত।

সর্বশেষ ফলাফলে দেখা যায়, সাতটি পদের মধ্যে পাঁচটিতেই বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরা জয়লাভ করেছেন। সেক্রেটারি পদে জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক আনম আবদুর রহীম পরাজিত হন ছাত্রদল সভাপতির কাছে। এছাড়া সদস্য পদে ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি এবং এনসিপির বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীও জয়ী হতে পারেননি।