হাফ ভাড়া ইস্যুতে বাস শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের কারণে বরিশাল–ঢাকা মহাসড়কে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে বাস চলাচল পুনরায় শুরু হয়। রাত ১০টার দিকে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা নথুল্লাবাদ এলাকা ছাড়ে। পরে সাড়ে ১০টার দিকে মালিক সমিতি কার্যালয়ে অবরুদ্ধ মালিক ও শ্রমিক নেতারাও বাসস্ট্যান্ড ত্যাগ করেন। পুরো এলাকায় বর্তমানে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। মালিক–শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনাও রয়ে গেছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে সেখানে এখনো পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত উভয়পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষ হয়। শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভে নামেন এবং পরে টার্মিনালে থাকা প্রায় অর্ধশত বাস ও কাউন্টার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দুই প্রান্তে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয় এবং যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ে।
রাত ৯টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিলে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
শিক্ষার্থীরা জানান, হিজলা থেকে বরিশালে আসার পথে বিএম কলেজের এক শিক্ষার্থী হাফ ভাড়া দিতে চাইলে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। এর জেরে নথুল্লাবাদে সন্ধ্যায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষেরই প্রায় অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন।
রোববার মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের বৈঠকে এই ঘটনার পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন জেলা বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মোশারফ হোসেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ওসি মামুন উল ইসলাম জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড সম্পূর্ণ শান্ত রয়েছে এবং তার আধাঘণ্টা আগেই মহাসড়কে যান চলাচল শুরু হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলেও তিনি জানান।