গয়েশ্বর: প্রশাসনকে জনগণের পাশে থাকতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে প্রশাসনের নীরব থাকা উচিত নয়। জনগণের কল্যাণে কাজ করাই প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব ও লক্ষ্য হওয়া উচিত। অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার আলো যেন অন্ধকারে নিমজ্জিত না হয়, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আমবাগিচায় কেরানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজে নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতার সময় প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসন যদি জনগণের পক্ষে থেকে ন্যায় ও সত্যের পথে কাজ করে, তবে মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। একটি নিরপেক্ষ...

33

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে প্রশাসনের নীরব থাকা উচিত নয়। জনগণের কল্যাণে কাজ করাই প্রশাসনের প্রধান দায়িত্ব ও লক্ষ্য হওয়া উচিত। অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার আলো যেন অন্ধকারে নিমজ্জিত না হয়, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আমবাগিচায় কেরানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজে নবীনবরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও অস্থিরতার সময় প্রশাসনের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রশাসন যদি জনগণের পক্ষে থেকে ন্যায় ও সত্যের পথে কাজ করে, তবে মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। একটি নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল প্রশাসনই পারে দেশের গণতান্ত্রিক ভিত্তি পুনর্গঠন করতে।

নবীন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, স্বাধীন ও স্বাবলম্বী নারীর চেতনায় গড়ে উঠবে আগামী প্রজন্মের বাংলাদেশ। আধুনিক শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে আমরা গড়তে চাই বৈষম্যহীন সমাজ। তিনি আরও জানান, ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের আগেই কলেজ প্রাঙ্গণে একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করা হবে, যাতে তরুণরা দেশপ্রেম ও মুক্তচেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য আরও বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ তোমাদের হাতে। সত্য, সাহস ও ন্যায়ের পথে থেকে আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার শপথ নিতে হবে। জনগণের পক্ষে দাঁড়ানোই এখন সময়ের দাবি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, কেরানীগঞ্জ বিএনপি জনগণের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানবিকতা, ন্যায়বোধ ও দেশপ্রেম জাগিয়ে তুলতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। শিক্ষা ও নারী জাগরণই হচ্ছে প্রকৃত স্বাধীনতার ভিত্তি।

পরে নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। শিক্ষার্থীরা গান, নাচ ও কবিতা আবৃত্তির মাধ্যমে দেশপ্রেম, স্বাধীনতা ও নারী জাগরণের বার্তা তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ মো. নাজিম উদ্দিন, কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া, উপজেলা দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু এবং ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মো. পাবেল মোল্লা।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ এ.টি.এম. বজলুর রশীদ খন্দকার, বিএনপি নেতা ওমর শাহনেওয়াজ, মোহাম্মদ আলী হোসেন, মোকাররম হোসেন সাজ্জাদ, হাজী শহিদুল ইসলাম, আরশাদ রহমান সপু, মতিউর রহমান চঞ্চল ও ইমান উল্লাহ।