
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ ২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন করেছে। রোববার (৯ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের বিধি-৬ শাখা থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৬ সালে মোট সরকারি ছুটি থাকবে ২৮ দিন। এর মধ্যে ৯ দিন পড়বে সাপ্তাহিক ছুটি—শুক্রবার ও শনিবারে। ফলে প্রকৃত বা কার্যকর সরকারি ছুটি থাকবে ১৯ দিন।
এ ছাড়া নতুন বছরে মুসলিম ধর্মীয় উৎসবে পাঁচ দিন, হিন্দু উৎসবে নয় দিন, খ্রিষ্টান উৎসবে আট দিন, বৌদ্ধ উৎসবে সাত দিন এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কর্মচারীদের জন্য দুদিন ঐচ্ছিক ছুটি নির্ধারিত হয়েছে।
২০২৬ সালের সরকারি ছুটির তারিখগুলো দেখতে ক্লিক করুন এখানে।
তবে সবাই কি এই ছুটি পাবে?
সরকারি ছুটি কীভাবে নির্ধারিত হয়, কত প্রকার ছুটি রয়েছে, কিংবা সবাই কি সমানভাবে এই ছুটি ভোগ করতে পারে—এসব নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই।
সাধারণত সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতি বছরের সাধারণ ছুটির তালিকা প্রকাশ করে। সেই তালিকায় নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কিছু অতিরিক্ত ছুটিও যুক্ত করা হয়। সাধারণ ছুটি ও নির্বাহী আদেশে ঘোষিত ছুটির পাশাপাশি, পরবর্তীতে কর্মচারীর আবেদন বা প্রয়োজনে কর্তৃপক্ষ ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন করতে পারে।
বাংলাদেশে সরকারি ছুটির বিষয়টি মূলত সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এবং নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা, ১৯৫৯ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ অনুযায়ী, সরকারি কর্মচারীরা প্রযোজ্য বিধি ও সরকারি আদেশ অনুসারে ছুটি গ্রহণের অধিকারী।
অন্যদিকে, নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা, ১৯৫৯–এ বিভিন্ন ধরনের ছুটি, যেমন অর্জিত ছুটি ও অসাধারণ ছুটির বিস্তারিত বিধান নির্ধারণ করা হয়েছে।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত