ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লাল কেল্লার কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় সারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রবিবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় লাল কেল্লার নিকটে একটি গাড়িতে শক্তিশালী বিস্ফোরণে অন্তত আটজন নিহত ও ২৪ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিস্ফোরণের পর মুম্বাইসহ মহারাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে। রেলস্টেশন, বিমানবন্দর, শপিং মল ও জনবহুল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
লখনউ থেকে জারি করা নির্দেশনায় উত্তরপ্রদেশের সব জেলাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সংবেদনশীল এলাকায় টহল ও যানবাহন তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। দেরাদুনেও একই নির্দেশনা অনুসারে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দিল্লিতে বিস্ফোরণের পর ভারত-নেপাল সীমান্তেও কঠোর নজরদারি শুরু হয়েছে। সীমান্তে মোতায়েন বিএসএফ সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় পুলিশকেও সতর্ক করা হয়েছে এবং সীমান্ত দিয়ে যাতায়াতকারী প্রত্যেককে কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
রাজস্থানের পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিজিপি) রাজীব শর্মা রাজ্যের সব রেঞ্জ আইজি ও জেলা পুলিশ সুপারদের উচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সীমান্তবর্তী জেলা ও সংবেদনশীল এলাকাগুলোয় যানবাহন তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের কমিশনার জানান, সন্ধ্যা ৬টা ৫২ মিনিটে লাল কেল্লা ট্রাফিক সিগনালের কাছে ধীরগতিতে চলমান একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে, তখন যাত্রীরা গাড়ির ভেতরেই ছিলেন।
দমকল বিভাগের উপপ্রধান একে মালিক বলেন, সন্ধ্যা ৭টা ২৯ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। বিস্ফোরণে আশপাশের অন্তত ২২টি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আহতদের লোকনায়ক হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আটজনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিস্ফোরণের শব্দ ছিল অত্যন্ত প্রবল এবং মুহূর্তের মধ্যেই বিশাল আগুনের গোলা দেখা যায়। বর্তমানে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল ও অ্যান্টি-টেরর স্কোয়াড ঘটনাস্থলে তদন্ত শুরু করেছে।
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত