মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০১:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫টি সাধারণ ভুল মানুষ প্রায়ই করে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার পরিত্যক্ত নৌঘাঁটি পুনরায় সংস্কারের কাজ করছে সাগর জাহানের নতুন মেগা সিরিয়াল ‘বিদেশ ফেরত’ ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ‘মায়ের ডাক’ তুলি হয়ে উঠলেন জোটের সহযোগীদের জন্য নির্দিষ্ট আসন বরাদ্দ করল বিএনপি গোপালগঞ্জের তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী তালিকা ২৩৭টি আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ উলভার্টের সেঞ্চুরি ম্লান করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের দুর্দান্ত জয় দাঙ্গা-ফ্যাসাদে না জড়াতে কর্মীদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন সেলিমুজ্জামান ধানের চেয়ে খড়ের মূল্য এখন বেশি

নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫টি সাধারণ ভুল মানুষ প্রায়ই করে

প্রযুক্তি ডেস্ক
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৩ Time View
45

প্রতি বছর বাজারে আসে অসংখ্য নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন—কিছু নামি কোম্পানি, কিছু নতুন ব্র্যান্ড। দামের দিক, নকশা ও ফিচারের দিক থেকে ফোনগুলো একে অপরের থেকে আলাদা। কেউ হয়তো বাড়তি ফিচার পেতে চান, আবার কেউ আগের মডেলের সামান্য পরিবর্তিত সংস্করণেই সন্তুষ্ট হন। আর এই বিশাল ভ্যারায়টি থেকে অনেকেই বেছে নেন নিজের ‘স্বপ্নের ফোন’।

তবে নতুন ফোন কেনার সময়ে বেশিরভাগ মানুষই কিছু সাধারণ ভুল করে বসেন, যেগুলো পরে আফসোসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেই ৫টি ভুল:

১. স্টোরেজের প্রয়োজন ঠিকমতো না বোঝা
আজকাল অ্যাপ, ছবি, ভিডিও—সবই ফোনের স্টোরেজ দখল করে নিচ্ছে। কিন্তু অনেকেই ভাবেন না, আসলে তাদের কতটুকু জায়গা প্রয়োজন। পরবর্তীতে দেখা যায়, অল্প সময়ের মধ্যেই ফোনের মেমোরি পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে এবং বাধ্য হয়ে অ্যাপ বা ছবি ডিলিট করতে হচ্ছে। যদিও মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করে জায়গা বাড়ানো সম্ভব, তবে সেটা অতিরিক্ত খরচের বিষয়। তাই ফোন কেনার আগে নিজের ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী যথেষ্ট স্টোরেজযুক্ত ফোন বেছে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।

২. সফটওয়্যার আপডেটকে উপেক্ষা করা
অ্যান্ড্রয়েড ফোনের একটি বড় সীমাবদ্ধতা হলো সব মডেল নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট পায় না। পুরোনো সিস্টেমে নতুন অ্যাপের ফিচার ঠিকমতো কাজ করে না, নিরাপত্তার ঝুঁকিও বাড়ে। নতুন ফোন কেনার আগে লক্ষ্য করুন, ব্র্যান্ডটি কত বছর পর্যন্ত সফটওয়্যার সাপোর্ট দেয়। বর্তমানে অনেক কোম্পানি ৪ থেকে ৭ বছর পর্যন্ত আপডেটের নিশ্চয়তা দিচ্ছে, আবার কিছু কোম্পানি মাত্র ১-২ বছরেই আপডেট বন্ধ করে দেয়। দীর্ঘমেয়াদি সাপোর্ট দেওয়াই ভালো বিকল্প।

৩. ব্র্যান্ডের দাবিকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করা
‘১০৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা’ শুনলেই অনেকেই ধরে নেন, ছবিও চমৎকার হবে। কিন্তু বাস্তবে ৪৮ বা ১২ মেগাপিক্সেলের ক্যামেরা অনেক সময় ভালো পারফর্ম করে। একইভাবে, ৫৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি সবসময় ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারির চেয়ে ভালো হয় না। মূল বিষয় হলো—ফোনের সফটওয়্যার অপটিমাইজেশনই পারফরম্যান্স নির্ধারণ করে। তাই কেনার আগে ইউটিউবে রিভিউ দেখুন বা পরিচিত কারও অভিজ্ঞতা নিন।

৪. নিজের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার না দেওয়া
সবচেয়ে বড় ভুলের একটি হলো নিজের প্রয়োজন বোঝা ছাড়াই ফোন কেনা। অনেকেই শুধু জনপ্রিয়তার কারণে এমন ফোন কিনে ফেলেন, যা তাদের বাজেটের বাইরে বা প্রয়োজনের তুলনায় বেশি। প্রথমে ঠিক করুন, ফোনটি কী কাজে ব্যবহার করবেন—কল ও সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য, নাকি গেমিং বা অফিসের কাজে। আজকাল অনেক বাজেট ফোনও চমৎকার পারফরম্যান্স দেয়, তাই নিজের প্রয়োজনকেই মূল মানদণ্ড হিসেবে নিন।

৫. ছাড় বা অফারের জন্য অপেক্ষা না করা
নতুন ফোন বাজারে আসার সঙ্গে সঙ্গে কিনে ফেলা অনেকের অভ্যাস। কিন্তু এটি একটি ভুল। বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ফোনের দাম মুক্তির কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কিছুটা কমে যায়, অথবা ডিসকাউন্টে পাওয়া যায়। সামান্য ধৈর্য ধরলেই একই ফোনটি অনেক সাশ্রয়ী দামে পাওয়া সম্ভব।

সূত্র: জিও নিউজ

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category