
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পর মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে দলীয় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে সাবেক সংসদ সদস্য ও সম্ভাব্য প্রার্থী আমজাদ হোসেন এবং জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন এবং প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আমজাদ হোসেন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে অবস্থান করছিলেন। এ সময় জেলা বিএনপি সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের অনুসারীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। পরে আমজাদ হোসেন নিজ কার্যালয়ে আশ্রয় নিলে প্রতিপক্ষের কর্মীরা সেখানে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং কার্যালয়ের সামনে রাখা মোটরসাইকেলগুলো ভাঙচুর করে।
ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতাল বাজার এলাকা থেকে উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে আমজাদ হোসেনপন্থি নেতাকর্মীরা একটি মিছিল নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে যান। সেখানে পৌঁছে তারা জাভেদ মাসুদ মিল্টনের কার্যালয়ে পাল্টা হামলা চালিয়ে আসবাবপত্র ও চেয়ার বাইরে এনে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে পুরো শহরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানি ইসরাইল জানান, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের বিএনপির প্রার্থী ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে।