শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দেশি মুরগির দাম কেজিতে ৬০০ টাকা, ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকায় মাছের বাজারে দাম স্থিতিশীল নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ নামে কোনো বিষয় থাকবে না মির্জা ফখরুল: গণতন্ত্রকে আবারও নাশের ষড়যন্ত্র চলছে মাইকেলের আগমন ঘটছে ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় নিয়ে সব ধরনের অসত্য তথ্যের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গোপালগঞ্জ জেলা পুলিশের কিট পরিদর্শন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে ১৪৯ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া টাইফুনের তাণ্ডবে বিমানবন্দর ও মহাসড়ক বন্ধ ঘোষণা ‘জরুরি প্রয়োজন’ ছাড়া চিকিৎসকদের বদলি ও পদায়ন বন্ধ আমার মেয়েকে তারা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে সৈয়দপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে নারীর ক্ষমতায়ন ও বৈষয়িক জীবনযাপন বিষয়ক সেমিনার

রাজৈরে শহীদ মিনার ভাঙচুর করে ঘর তোলার চেষ্টা, এলাকায় উত্তেজনা

রাজৈর ( মাদারীপুর ) প্রতিনিধি
  • Update Time : বুধবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২৩১ Time View
54

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ফুলতলা বাজারে শহীদ মিনার ভেঙে জোরপূর্বক ঘর নির্মাণের চেষ্টা চালানোর অভিযোগ উঠেছে সেনাবাহিনীর কুক পদে চাকরিরত বুলবুল মিয়া নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তিনি মাঝকান্দি কাশিপুর গ্রামের মোশারফ মিয়ার ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,গত বৃহস্পতিবার সকালে বুলবুল মিয়া কিছু লোকজন নিয়ে ফুলতলা বাজারের শহীদ মিনারের অংশ ভেঙে ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। এ সময় তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ আর্মির নির্দেশে তিনি সেখানে ঘর তুলছেন। খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বাজারের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ে।
রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, “ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। বুলবুল মিয়ার কোনো বৈধ কাগজপত্র আমাদের কাছে নেই। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”
এদিকে ফুলতলা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, শহীদ মিনার ভাঙচুরের ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয়রা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাজারে ঘর তোলার জন্য কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি টাকার বিনিময়ে ভাড়াটে লোক দিয়ে কাজ করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
বাজার কমিটির সভাপতি দাদন মিয়া জানান, বুলবুল মিয়ার দাদা বহু বছর আগে বাজারে প্রায় ৪২ শতাংশ জমি দান করেছিলেন। সেই সূত্র ধরে বুলবুল বাজারে জায়গা দাবি করে আসছেন। তবে বাজারে বর্তমানে কোনো খালি জায়গা নেই বলে জানানো হলে তিনি এ দাবি মানতে অস্বীকৃতি জানান।

বাজার কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাজারের সব জমিতেই জেলা প্রশাসনের দাগ ও চিহ্ন রয়েছে, তাই নতুন করে জায়গা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে একাধিক বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি। ইউএনও কাজ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। শহীদ মিনারের পবিত্র স্থানটি দখলের চেষ্টা হিসেবে স্থানীয়রা দেখছেন ঘটনাটিকে। ইতোমধ্যে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এলাকাবাসী শহীদ মিনারের স্থানটি সংরক্ষণ ও দখলচেষ্টা বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category