মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ১১:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫টি সাধারণ ভুল মানুষ প্রায়ই করে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার পরিত্যক্ত নৌঘাঁটি পুনরায় সংস্কারের কাজ করছে সাগর জাহানের নতুন মেগা সিরিয়াল ‘বিদেশ ফেরত’ ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ‘মায়ের ডাক’ তুলি হয়ে উঠলেন জোটের সহযোগীদের জন্য নির্দিষ্ট আসন বরাদ্দ করল বিএনপি গোপালগঞ্জের তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী তালিকা ২৩৭টি আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম প্রকাশ উলভার্টের সেঞ্চুরি ম্লান করে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ভারতের দুর্দান্ত জয় দাঙ্গা-ফ্যাসাদে না জড়াতে কর্মীদের কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন সেলিমুজ্জামান ধানের চেয়ে খড়ের মূল্য এখন বেশি

সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদা আবারও ৪ দিনের রিমান্ডে

জনপদ ডেস্ক
  • Update Time : শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫
  • ১৯৩ Time View
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা।
25

আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে নির্বাচন প্রহসনের অভিযোগ ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় বিএনপির করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত ফের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেল ৩:৪২ মিনিটে নুরুল হুদাকে হাজতখানা থেকে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতে তিনি মাথার হেলমেট খুলে ফেলেন এবং এক হাত থেকে হ্যান্ডকাপও খুলে নেওয়া হয়। গরম সত্ত্বেও তার বুকে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুজ্জোহা সরকার আসামির জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকীও রিমান্ডের তীব্র দাবি জানান। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চান ও রিমান্ডের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। শুনানির সময় নুরুল হুদাকে দুই হাত কাঠগড়ায় রেখে মুখ মলিন করে বসে থাকতে দেখা যায়।

গত রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয়রা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, লুঙ্গি পরিহিত নুরুল হুদাকে গলায় জুতার মালা পরানো হয় এবং মুখে জুতার আঘাত করা হয়। পরদিন আদালত তাকে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, গত ২২ জুন বিএনপি অভিযোগ করেন যে, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়ে ভয়ভীতি সৃষ্টি করে জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করেছে। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এই মামলাটি দায়ের করেন।

২৫ জুন মামলায় নতুন করে রাষ্ট্রদ্রোহ, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারা যুক্ত করা হয়। মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের সিইসি এ কে এম নুরুল হুদা এবং ২০২৪ সালের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়েছে।

সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও এই মামলায় আসামি করা হয়েছে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category