হিরো আলম ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে, ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে

আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন, যিনি হিরো আলম নামে পরিচিত। বর্তমানে তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার (আজ) দুপুরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ইউনিট-২–তে তাঁর চিকিৎসা চলছে। হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে প্রথম আলোকে জানান, হিরো আলম অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ সেবন করায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁর অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরবর্তী এক দিন পর বোঝা যাবে তিনি বিপদমুক্ত কি না। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে হিরো...

13

আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল হোসেন, যিনি হিরো আলম নামে পরিচিত। বর্তমানে তিনি বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শুক্রবার (আজ) দুপুরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ইউনিট-২–তে তাঁর চিকিৎসা চলছে।

হাসপাতালের উপপরিচালক আবদুল ওয়াদুদ দুপুর ২টা ১৫ মিনিটের দিকে প্রথম আলোকে জানান, হিরো আলম অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ সেবন করায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁর অবস্থা এখনো শঙ্কামুক্ত নয়। তাঁকে ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরবর্তী এক দিন পর বোঝা যাবে তিনি বিপদমুক্ত কি না।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টা ৩০ মিনিটের দিকে হিরো আলম ঢাকা থেকে বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি গ্রামে বন্ধু জাহিদ হাসানের বাড়িতে ওঠেন। রাতেই তিনি ওষুধ সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়েন।

জাহিদ হাসান জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে হিরো আলমকে ঘুমের ঘর থেকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। দুপুর ১২টার দিকে তাঁকে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরে তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

জাহিদ আরও বলেন, হিরো আলমের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব রয়েছে। তাই মাঝেমধ্যে তাঁর বাসায় যাতায়াত করেন হিরো আলম। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ভান্ডারবাড়িতে পৌঁছানোর পর তিনি স্ত্রী রিয়ামণির সঙ্গে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক একটি ঘটনার কারণে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং কান্নাকাটি করেন। এরপর তিনি না খেয়ে একা একটি ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরে ঢুকে জাহিদ তাঁকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পান এবং দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান।