মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
মেহেরপুর-২ আসনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ “চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেও বিএনপির অস্তিত্ব মুছে ফেলা যায়নি” মাজার জিয়ারত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন ইলিয়াসপত্নী লুনা মিশরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মির্জা ফখরুল নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫টি সাধারণ ভুল মানুষ প্রায়ই করে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার পরিত্যক্ত নৌঘাঁটি পুনরায় সংস্কারের কাজ করছে সাগর জাহানের নতুন মেগা সিরিয়াল ‘বিদেশ ফেরত’ ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী ‘মায়ের ডাক’ তুলি হয়ে উঠলেন জোটের সহযোগীদের জন্য নির্দিষ্ট আসন বরাদ্দ করল বিএনপি গোপালগঞ্জের তিন আসনে বিএনপির প্রার্থী তালিকা

কমলাপুরে ভিড়ের মধ্যে স্বস্তি, অন্যরকম পরিবেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৫ জুন, ২০২৫
  • ২৯৫ Time View
ছবি : সংগৃহীত
8

রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে ঈদ উপলক্ষে আজ সকাল থেকেই যাত্রীদের ঢল নামে। তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ঈদযাত্রা অনেক বেশি স্বস্তিদায়ক বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।

সময়মতো ট্রেন ছাড়ার পাশাপাশি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে ভোগান্তি অনেক কম হয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেছেন।

নির্ধারিত সময় সকাল ১০টায় জামালপুর এক্সপ্রেস হুইসেল বাজিয়ে জামালপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ট্রেন ছাড়ার সময় যাত্রীদের মধ্যে প্রবল উচ্ছ্বাস এবং উৎসাহ দেখা গেছে।

আগে থেকে টিকিট কাটা যাত্রীরা নিজের মতো করে নির্ধারিত আসনে বসে যান। এছাড়া বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ স্ট্যান্ডিং টিকিটের ব্যবস্থা করায় অনেক যাত্রীর যাত্রা সুবিধাজনক হয়েছে।

তবে কিছু তরুণ যাত্রী ছাদে উঠে যাত্রা করার প্রবণতা প্রকাশ করেছেন, যা ঝুঁকিপূর্ণ হলেও ঈদের আনন্দে তারা এই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত।

কমলাপুর স্টেশনের আশপাশে হালকা বৃষ্টি দেখা যায়। এই অপ্রত্যাশিত বৃষ্টিতে বাঁচতে অনেক যাত্রী ছাতা, পলিথিন কিংবা কাগজ দিয়ে নিজেদের ঢেকে রাখার চেষ্টা করেছেন।

অবিরাম বৃষ্টির মাঝেও তাদের মুখে ছিল বাড়ি ফেরা আনন্দ। ট্রেন ছাড়ার মুহূর্তে অনেকেই চিৎকার করে তাদের আবেগ প্রকাশ করেছেন।

ঈদযাত্রায় অংশ নেওয়া বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা এবারের যাত্রায় অনেকটাই সন্তুষ্ট। তাদের মতে, গত বছরের তুলনায় এবার যাত্রীদের ভোগান্তি অনেক কম হয়েছে।

বেশিরভাগ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে গেছে, যদিও কিছু ট্রেন পাঁচ থেকে দশ মিনিট দেরিতে রওনা হয়েছে। তবে যাত্রীরা এ সামান্য বিলম্ব নিয়ে কোনো বড় অভিযোগ করেননি।

তবে যাত্রীদের পক্ষ থেকে একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি বেশ কয়েকবার উঠে এসেছে—দাঁড়িয়ে চলা যাত্রী ও ছাদে ওঠা যাত্রীদের ভোগান্তি ও ঝুঁকি কমাতে ঈদ স্পেশাল ট্রেনের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা উচিত। এতে চাপ কমবে এবং যাত্রাও হবে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময়।

সর্বমোট, এবারের ঈদযাত্রা ট্রেন চলাচলের সময়ানুবর্তিতা, যাত্রীদের ইতিবাচক মনোভাব এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সুসংগঠিত উদ্যোগের কারণে অনেকটাই সফল ও সুশৃঙ্খল হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category