বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০১:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
“আমন ধান সংগ্রহ অভিযান নির্বিঘ্ন রাখতে কর্মকর্তাদের বদলি স্থগিত” সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল রাতে মাঠে মুখোমুখি লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদ দেখবেন যেভাবে নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন কে, আর জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? মেহেরপুর-২ আসনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ “চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেও বিএনপির অস্তিত্ব মুছে ফেলা যায়নি” মাজার জিয়ারত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন ইলিয়াসপত্নী লুনা মিশরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মির্জা ফখরুল নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫টি সাধারণ ভুল মানুষ প্রায়ই করে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার পরিত্যক্ত নৌঘাঁটি পুনরায় সংস্কারের কাজ করছে

গোপালগঞ্জে ৬৬০ টাকা দরে কালেক্টর বাজারে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস

রিকি শেখ গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
  • Update Time : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪
  • ৪৬৮ Time View
2

মহান স্বাধীনতা দিবস ও রমজান উপলক্ষে গোপালগঞ্জে ৬৬০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করছে কালেক্টর বাজার। জেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই কার্যক্রম শুরু করেছে। গোপালগঞ্জ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশে লঞ্চঘাট এলাকায় এই বাজার বসানো হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে এই বাজারের উদ্বোধন করেন।এদিন তিনি সরকার নির্ধারিত মূল্য ৬৬৪ টাকা থেকে ৪ টাকা কমিয়ে ৬৬০ টাকায় প্রত্যেক ক্রেতার হাতে দুই কেজি করে গরুর মাংস তুলে দেন।

বাজার থেকে কম মূল্যে মাংস কিনতে ভিড় করেন গোপালগঞ্জ শহরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মুসল্লিরা। প্রথম দিন দুইটি গরু জবাই করা হয়। মুহূর্তের মধ্যে সব মাংস বিক্রি হয়ে যায়।এই বাজারে মাংস কিনতে আসা বেশিরভাগ ক্রেতা শ্রমজীবী, দিনমজুর ও ছোট ব্যবসায়ী।

কালেক্টর বাজারের মুখপাত্র আরমান খান জয় জানিয়েছেন, বাজারের প্রতিটি পণ্যের দাম জনসাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এই দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ মাংস তো দূরের কথা মাছও কিনে খেতে পারে না। সারাদিন রোজা রেখে যদি পুষ্টিকর খাবার না খেতে পারে তাহলে এরা নানান অসুখে ভুগতে পারে।

তাই আমরা বেশ কয়েকজন যুবক মিলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি রমজান উপলক্ষে সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংসসহ তরমুজ, বাঙ্গি, কলা, বিক্রি করব। যাতে মানুষ কিনে খেতে পারে। আমাদের বেশি লাভের দরকার নেই। তাই খরচ বাবদ যেটা প্রয়োজন সেটুকু লাভ করেই আমরা মাল বিক্রি করছি। আমাদের লক্ষ্য একটাই সেটা হলো সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের কল্যাণে কাজ করা।
মাংস কিনতে আসা শহরের নবীনবাগ এলাকার বাসিন্দা শাবুদ্দিন সুজা বলেন , গোপালগঞ্জ জেলা শহরের বড় বাজার, বটতলা, গেটপাড়া, বেদগ্রাম, ঘোনাপাড়া, পাচুড়িয়া বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয় ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। এসব ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মাংস বিক্রি করে। আর এই কলেক্টর বাজারে ৬৬০ টাকা দরে মাংস বিক্রি হচ্ছে জানতে পেরে আমরা মাংস কিনতে এসেছি। এখান থেকে দুই কেজি মাংস কিনেছি। তাতে বাজার থেকে প্রায় ১২০/১০০ টাকা কম।

শহরের বটতলা রোডের বাসিন্দা হেদায়েত শেখ বলেন, এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখতে পেলাম বাজারমূল্য থেকে ১০০/১৫০ টাকা কমে মাংস বিক্রি হচ্ছে। তাই দুই কেজি মাংস নিলাম। এই যুবকরা যদি ৬৬০ টাকা দামে মাংস বিক্রি করতে পারে তাহলে বাজারের ব্যবসায়ীরা কেন পারবে না। প্রশাসনের কাছে দাবি ব্যবসায়ীদের এই সিন্ডিকেট যাতে ভেঙে দেওয়া হয়।

মাংস কিনতে আসা হিরাবাড়ি মোড়ের বাসিন্দা পলাশ শরীফ বলেন, বাজারে কেউ কিছু বলে না। যে যার মতো দাম নিচ্ছে। এখানে বাজার থেকে ১৫০ টাকা কম দামে মাংস কিনতে পেরে ভালো লাগছে।

গোপালগঞ্জ শহরে ও অন্য বাজারে কিনতে গেলে ৭৫০-৮০০ টাকা লাগতো। এমন উদ্যোগে আমি খুবই খুশি।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহসীন উদ্দিন বলেন, কালেক্টর বাজার একটা নয় শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আরো বাজার স্থাপন করা হবে। পর্যায়ক্রমে এই ধরনের বাজার সম্প্রসারণ ও উদ্যোক্তা সৃষ্টির কাজ চলছে। আশা করি করি আমরা কালেক্টর বাজার স্থাপনের মধ্য দিয়ে ক্রেতা সাধারণকে ভেজালমুক্ত পণ্য কম দামে দিতে সক্ষম হব।

জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, আমরা চাই বাজারের সকল ব্যবসায়ীরা যাতে কম লাভে জনগণের হাতে পণ্য তুলে দিতে পারে সেই লক্ষে কাজ করছি। পরীক্ষামূলকভাবে এই কালেক্টর বাজার শুরু করেছি। জেলার বিভিন্ন স্থানে খাসজমি রয়েছে। সেসব জমি অবৈধ দখলমুক্ত করে সেখানে স্থায়ীভাবে সরকার নির্ধারিত মূল্যের বাজার ব্যবস্থা চালু করব। আর বাজারের ব্যবসায়ীরা যাতে এই বাজারের দেখাদেখি উদ্বুদ্ধ হয় এবং ক্রেতা সাধারণের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category