বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৪২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
“আমন ধান সংগ্রহ অভিযান নির্বিঘ্ন রাখতে কর্মকর্তাদের বদলি স্থগিত” সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল রাতে মাঠে মুখোমুখি লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদ দেখবেন যেভাবে নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন কে, আর জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? মেহেরপুর-২ আসনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ “চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেও বিএনপির অস্তিত্ব মুছে ফেলা যায়নি” মাজার জিয়ারত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন ইলিয়াসপত্নী লুনা মিশরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মির্জা ফখরুল নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫টি সাধারণ ভুল মানুষ প্রায়ই করে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার পরিত্যক্ত নৌঘাঁটি পুনরায় সংস্কারের কাজ করছে

গোপালগঞ্জের উরফি ইউনিয়নে এক শিশু শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
  • Update Time : শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ৩৪২ Time View
3

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ৭ নং উরফি ইউনিয়নে তৃতীয় শ্রেনির এক শিশু শিক্ষার্থীর শ্লীলতাহানি চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই শিশুর পরিবারের সাথে পার্শ্ববর্তী সিরাজুল হক কালু মুন্সীর পূর্ব বিরোধ রয়েছে। এরই জের ধরে প্রায়ই সে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকান্ড করে আসছিলো। এর আগেও ওই পরিবারের সাথে কালু শেখ ও তার লোকজন গন্ডগোল করে বলে এলাকাবাসী জানান।

গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট, আমলী আদালতের বিজ্ঞ বিচারক রোমানা রোজির নেওয়া ভুক্তভোগীর জবানবন্দিতে পাওয়া যায়, অভিযুক্ত সিরাজুল হক কালু প্রতিদিন স্কুলে যাওয়ার পথে সে ওই শিশু শিক্ষার্থীকে বিরক্ত করতো।তাকে সবসময় তার সাথে যেতে বলতো। তাকে গলা কেটে ফেলবে বলে ভয় দেখিয়ে ও তার বাবার হাত, পা কেটে ফেলার ভয় দেখিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাতাহাতি করতো। ঘটনার দিন সকাল ৭ টার দিকে ভুক্তভোগী তার বান্ধবীর বাড়ি থেকে ফেরার পথে কালু মুন্সী তার পথরোধ করে তার গলা কেটে ফেলবে হুমকী দিয়ে বাড়ির পাশের সরকারি পুকুর পাড়ে নিয়ে গিয়ে তার পরনের কাপড় খুলে ফেলে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে কালু মুন্সী। চিৎকার শুনে তার বাবা চলে আসলে কালু মুন্সী পালিয়ে যায়।

পরে এবিষয়ে ভুক্তভোগীর বাবা শাহীন মুন্সী বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬/০১/২০২৪ ইং তারিখ রাত ১০ টায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (৯)(৪) খ মোতাবেক একটি মামলা রুজু হয় মামলা নং-০৬। মামলা হওয়ার দীর্ঘ ১ মাস ১০ দিন পার হলেও আসামী গ্রেপ্তার করতে পারেনি গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। সরেজমিনে তদন্তে যাওয়া এস আই সাইফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটির তদন্ত চলছে, ঘটনার সত্যতা পেলে আসামীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগীর দাদী রহিমা বেগম বলেন, আমার নাতির সাথে ওরা যা করেছে আমরা এলাকার সকলের কাছে বিচার চেয়েছি, বিচার তো পাই নাই, উল্টো ওরা আমার ছেলেকে হুমকী দিচ্ছে হাত-পা কেটে ফেলবে। ওদেরকে সাহায্য করছে আমাদের এলাকার মহিলা মেম্বার শেফালী। সে একজন মহিলা হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। আল্লাহ তার বিচার করবেন। গনমাধ্যমকর্মীদের একটি টিম সরেজমিনে গেলে মিন্না মুন্সী ও বেল্লাল মুন্সী তেড়ে মারতে আসে ভুক্তভোগীদের ওপর। গোপন সূত্রে জানা, অভিযুক্ত কালু মুন্সী মহিলা মেম্বারের মাধ্যমে সকলকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে ব্যাপারটি ধামাচাঁপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। ভুক্তভোগী ওই শিশু শিক্ষার্থী সহ তার পরিবারের লোকজন ওদের ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছে না।

এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভুক্তভোগী ও তার পরিবার।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category