বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
“আমন ধান সংগ্রহ অভিযান নির্বিঘ্ন রাখতে কর্মকর্তাদের বদলি স্থগিত” সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল রাতে মাঠে মুখোমুখি লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদ দেখবেন যেভাবে নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন কে, আর জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? মেহেরপুর-২ আসনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ “চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেও বিএনপির অস্তিত্ব মুছে ফেলা যায়নি” মাজার জিয়ারত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন ইলিয়াসপত্নী লুনা মিশরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মির্জা ফখরুল নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫টি সাধারণ ভুল মানুষ প্রায়ই করে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার পরিত্যক্ত নৌঘাঁটি পুনরায় সংস্কারের কাজ করছে

মাদারীপুরে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ভাইকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ

মণিরামপুর প্রতিনিধি
  • Update Time : বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ২৬৯ Time View
2
মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম রাস্তি গ্রামে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কিশোরী অন্তঃস্বত্বা হয়ে পড়লে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরীর ভাইকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে কিশোরীর পরিবার। প্রতিকার চেয়ে বুধবার দুপুরে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
অভিযোগ ও সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম রাস্তি গ্রামের আজিজুল পেদার ছেলে প্রান্ত পেদার (২৫) সাথে প্রতিবেশি এক কিশোরীর (১৭) প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরবর্তীকে কিশোরীকে ভয়ভীতি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্ক করে। এতে কিশোরী অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ে। তখন ওই কিশোরী বিয়ের জন্য প্রান্তকে চাপ দিয়ে প্রান্ত ও তার পরিবারের লোকজন ৩০ নভেম্বর কিশোরীকে মারধর করে।
পরে কিশোরীর মা বাদী হয়ে গত শনিবার ধর্ষণ ও মারধরের বিষয় মাদারীপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ দেয়ার পর প্রান্তর পরিবারের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। এই অভিযোগের বিষয় তদন্ত করার কথা বলে মঙ্গলবার সকালে মাদারীপুর সদর থানার এসআই কামাল হোসেন বাদী ও কিশোরীকে থানায় ডেকে আনেন। পরে এসআই কামাল হোসেন বাদীকে বিষয়টি মিমাংসা হয়ে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়। কিন্তু কিশোরীর পরিবার মিমাংসায় রাজি হয়নি।
এতে ক্ষিপ্ত হয় প্রান্তের পরিবার। মঙ্গলবার রাতে মাদারীপুর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সাগরসহ ৪ জন ধর্ষিতা কিশোরীর বাড়ি তল্লাসী করা কথা বলে ঘরে ঢুকে। পরে ধর্ষিতা কিশোরী ও তার ভাইকে তল্লাসী করে। এসময় ধর্ষিতা কিশোরীর ভাইয়ের কাছে ইয়াবা পাওয়া গেছে এমন অভিযোগ এনে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, পাশের বাড়ির একটি নির্মাণাধীন বিল্ডিং নিয়ে আমাকে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর একাধিক বার আমাকে ধর্ষণ করে। পরে আমি অন্তঃসত্বা হয়ে পড়ি। এই ঘটনায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। উল্টো আমার ভাইকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
এব্যাপারে কিশোরী মা বলেন, আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে।
থানায় অভিযোগ দিলে এসআই কামাল হোসেন আমাদের মিমাংসার প্রস্তাব দেন রাজি না হলে তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, মিমাংসা না হলে তোমাদের ক্ষতি হতে পারে। পরে আমার ছেলেকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা এডভোকেট সাইদুর রহমান সাগর বলেন, কিশোরীর পরিবারটি অত্যান্ত গরীব। কিশোরী ধর্ষনের ফলে অন্তঃসত্বা হয়ে পড়েছে সেই ঘটনায় পুলিশ মামলা নেয়নি। উল্টো কিশোরীর ভাইকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে।
ওই কিশোরী ভাই ইয়াবার ব্যবসা করে বা ইয়াবা সেবন করে এমনটা কখনই শুনিনি। আরেক বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, অসহায় কিশোরী বিচার তো পেলোই না উল্টো হয়রানীর শিকার হলো। আমরা এর প্রতিকার চাই।
এব্যাপারে মাদারীপুর পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় অবশ্যই মামলা হবে। তবে তদন্তের জন্য মামলা নিতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।
ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিশোরীর পরিবার এইসব বিষয় একটি অভিযোগ দিয়েছে। ইয়াবার ঘটনাটি তদন্তের জন্য পুলিশের একজন সিনিয়র অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে। কার কাছ থেকে কিভাবে পুলিশ তথ্যে পেয়ে ইয়াবা উদ্ধার করেছে বিষয়টি তদন্ত হলেই রহস্য উদঘাটন হয়ে যাবে। যদি কোন পুলিশের অপেশাদার আচরণ থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category