বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
“আমন ধান সংগ্রহ অভিযান নির্বিঘ্ন রাখতে কর্মকর্তাদের বদলি স্থগিত” সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শরীরচর্চা ও সঙ্গীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল রাতে মাঠে মুখোমুখি লিভারপুল ও রিয়াল মাদ্রিদ দেখবেন যেভাবে নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্ব দেবেন কে, আর জিতলে প্রধানমন্ত্রী হবেন কে? মেহেরপুর-২ আসনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ “চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র করেও বিএনপির অস্তিত্ব মুছে ফেলা যায়নি” মাজার জিয়ারত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেন ইলিয়াসপত্নী লুনা মিশরের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মির্জা ফখরুল নতুন অ্যান্ড্রয়েড ফোন কেনার সময় যে ৫টি সাধারণ ভুল মানুষ প্রায়ই করে যুক্তরাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার পরিত্যক্ত নৌঘাঁটি পুনরায় সংস্কারের কাজ করছে

অনিয়ম ঘুষ দূর্ণীতির শীর্ষে সাভার সেটেলমেন্ট অফিস

শাহাদাৎ হোসেন সরকার, আশুলিয়া প্রতিনিধি
  • Update Time : রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩
  • ৩৪৬ Time View
2

কথায় আছে যে এলাকায় চলে জরিপ উক্ত এলাকার মানুষ হয় গরিব,এমনটাই দেখা মেলে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদে। মাঠ জরিপের কাজে শতাংশ প্রতি টাকা নেওয়া সহ জমিতে যেকোনো সমস্যা দেখিয়ে আলম নগর সেটেলমেন্ট অফিসে সন্ধ্যার পর মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দেওয়া হয় পর্চা।

শুধু তাই নয় অফিস খরচের নামে ঘুষের টাকা লেনদেনে দক্ষ সেটেলমেন্ট অফিস, অনিয়ম নগদ টাকা প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্য আর দূর্নীতির আরেক নাম।

যেখানে সরকারি নির্ধারিত ফি এর সাথে অফিস খরচের নামেও ঘুষ না দিলে হচ্ছে না কোন কাজ।

এবং কি বারতি টাকা দিয়েও মিলছেনা কাঙ্ক্ষিত সেবা। অফিস খরচের নামে মোটা অংকের ঘুষ না দিলে দিনের পর দিন মাসের পর মাস হয়রানির শিকার হতে হয় জমি মালিকদের।

সরেজমিনে সেবা গ্রহীতারা গণকন্ঠ কে বলেন, সাভার সেটেলমেন্ট অফিসে এক টেবিল থেকে অন্য টেবিলে কাগজপত্র নিতে গেলে কাজের ধরন বুঝে গুনতে হয় অফিস খরচের নামে সর্বনিম্ন পাঁচশ টাকা থেকে শুরু করে হাজার হাজার টাকা।

ব্যাক্তিগত মালিকানা জমি খাস কিংবা উক্ত জমির উপর সরকারি রাস্তার ম্যাপ আছে এমন অজুহাতে সেবা গ্রহীতাদের এক প্রকার ব্ল্যাকমেইলিং করে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্থানীয় দালাল চক্রের মাধ্যমে মোটা অংকের ঘুষ বানিজ্যর অভিযোগও রয়েছে অহরহ।

প্রতিদিনের রুটিনে অফিসে অনিয়মের ধারাবাহিকতায় অফিস সহকারী কিংবা সার্ভেয়ার,সহকারী সার্ভেয়ার এবং কি এজলাসে’র পেশকার সহ রাজস্ব অফিসারও রয়েছে আপীল অফিসার, আপত্তি অফিসার এবং চুড়ান্ত অফিসারের মত বিচারক কর্মকর্তাগণ সেই সাথে মিষ্টি ,চা এবং বড় স্যার কে খুশি করার ফি তো আছেই।

স্থানীয় অনেক সেবা গ্রহিতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে অনুসন্ধানকালে বেশ কয়েকজন সেবা গ্রহীতারা গণমাধ্যমকে জানান,এই সাভার সেটেলমেন্ট অফিসে যত হয়রানি হয় বাংলাদেশের এমন ঘুষ বানিজ্য এবং হয়রানি কোথাও নেই।

উক্ত অফিসটিতে সরকারী ফি’র বাহিরে ঘুষের টাকা ছাড়া কোন কাজই হয় না।

আর ঘুষের টাকা না দিলে দিনের পর দিন আর মাসের পর মাস ঘুরতে হয় এবং চরম হয়রানির শিকার হতে হয়।

মোটা অংকের টাকা না দিলে কোন পর্চা দিতে রাজি হন না তারা ,
শুধু তাই নয় ডিউটি শেষে সন্ধ্যার পরে বাসায় বাসায় চলে ঘুষ লেনদেন ।
এমন দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করায় আরিফ নামে এক অফিস সহকারী টাকা দিয়ে সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা চালায়।

অনুসন্ধানে জানা যায়, এরা সকল প্রশাসন সহ সাংবাদিকদের সাথে সখ্যতা করেই চালায় এসকল দূর্ণীতিসহ ঘুষ বানিজ্য।

এসকল কাজে সহযোগীতা করেন উপ-সহকারী সেটেলমেন্ট ও রাজস্ব অফিসার মামুনুর সহ একাধিক কর্মকর্তাবৃন্দু।

ইতিপূর্বে উক্ত টাকা ভাগ-বাটোয়ারার দায়িত্ব পালন করেন শফিকুল ইসলাম । এদের মধ্যে অন্যতম হলেন মোঃ রুহুল আমিন পেশকার, মোঃ মোশাররফ হোসেন পেশকার, মোঃ শফিকুল ইসলাম সহ আরও অনেকে। বর্তমানে উক্ত দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী পেসকার সাইফুল ইসলাম।
পর্ব ১………চলবে।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

More News Of This Category