প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ৫, ২০২৫, ৬:৪৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ জুলাই ২১, ২০২২, ১১:২০ পি.এম
হবিগঞ্জ জেলায় টমটম গ্যারেজে অবৈধ সংযোগ” গিলে খাচ্ছে বিদ্যুতের বিশাল একটি অংশ

দেশের বিদ্যুৎ এর বড় একটি অংশ গিলে খাচ্ছে ব্যাটারিচালিত টমটম অটো রিক্সা। রাত ৮ টার পরে শপিংমল বিপনী বিতান দোকান রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকলে ও বন্ধ হচ্ছে না টম টম গ্যারেজ। রাত বরে চার্চজে থাকে গ্যারেজ গুলিতে শত শত টমটম অটো রিক্সা! দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ সাশ্রয় এর জন্য এই টম টম রিকশা বন্ধের কথা বলা হলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।
চালকদের দাবি, এলাকার প্রভাবশালীদের সহায়তায় টাকার বিনিময়ে কাঙ্ক্ষিত কার্ড পেলেই চালানো যায় অটো রিক্সার ও টম টম । স্থানীয় অভিযোগ, ওপর মহলের কিছু কর্মকর্তার কারণে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা টম টম বন্ধ হচ্ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শহরের ক্যানসাররূপী এই টম টম ও অটো রিকশা বন্ধই একমাত্র সমাধান নয়।
হবিগঞ্জ জেলায় শুধু ব্যাটারিচালিত টমটম অটো রিকশা আছে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক! পরিসংখ্যান বলছে, টম টম অটো রিকশা প্রতিদিন চার্জ বাবদ খরচ করছে পাঁচ ইউনিট বিদ্যুৎ; যা মাসে দাঁড়ায় ১৫০ ইউনিটে। এই বিদ্যুৎ দিয়ে এক মাস চলতে পারত একটি ছোট পরিবার।
দেশে বিদ্যুতের এই ঘাটতির দিনেও এসব যান নিয়ে কোনো মাথাব্যাথা নেই কারোরই। কিছু জন প্রতিনিধি এগুলোর সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত। অবৈধ লাইন্সেস বিহীন এই অটো রিকশা টম টম উচ্ছেদের জোর দাবি জানাচ্ছি। বিশেষজ্ঞরা জানান, ডিজিটালাইজেশনের যুগে কোনো সুবিধা বাদ না দিয়ে সমন্বয় করে এগিয়ে যেতে হবে।
এই টম টম ও রিকশাগুলো বিদ্যুৎতের চার্জারের মাধ্যমে চার্জ হচ্ছে। হবিগঞ্জ শহরে প্রায় ৫০ টির ও বেশি টমটম গ্যারেজ রয়েছে। চার্জারের ইফিসিয়েন্সি একটা বিশাল ব্যাপার। বিশেষজ্ঞদের মতে এটার গ্রহণযোগ্যতা সমাজে এত বেশি হয়ে গেছে, কাজেই এটাকে সহজে নিষিদ্ধ করা যাবে না এর বিকল্প ব্যবস্থা না করে। শুধু বিদ্যুতই না, দুর্ঘটনা বৃদ্ধি ও যানজট তৈরি করছে ব্যাটারিচালিত টমটম অটো রিকশা। তাই দ্রুত এসব যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবি সচেতন মহলের!
সম্পাদক
এড. গৌরাঙ্গ বসু (ট্রিপল এম.এ)
প্রকাশক
সবুজ বালা
© ২০২৫ আলোকিত জনপদ কর্তৃক সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত