লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে ঘাতক যুবককে গণপিটুনি দিলে সেও নিহত হয়। রোববার (১৮ এপ্রিল) সকালে রামগঞ্জ উপজেলার ভাট্টা ইউনিয়নের জাফর নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে নিহত নারী নাসরিনের কথিত প্রেমিক রাসেল তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
এরপর বিক্ষুদ্ধ জনতার গণপিটুনিতে অভিযুক্ত রাসেল নিহত হন। নিহত নারী ওই গ্রামের কাতার প্রবাসী ছপি উল্ল্যাহর স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী নাসরিন সুলতানা।
অপর নিহত যুবক রাসেল একই গ্রামের সিদ্দিক উল্লাহর ছেলে। পেশায় সে একজন কাঠমিস্ত্রী। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্বামী কাতার থাকার সুবাধে স্থানীয় ছফি উল্লাহর স্ত্রী নাসরিন আক্তার মৌসুমীর (৪০) সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাড়ির সিদ্দিক উল্লাহর ছেলে রাসেলের (৪০) সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
এক পর্যায়ে ওই সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে নারী। এতে রাসেল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনার দিন নাসরিনের স্বামীর বাড়িতে হামলা চালায় রাসেল।
এসময় নাসরিন ও তার পরিবারের লোকজনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন আসলে তার গলায় ছুরি ধরে হত্যা করার হুমকি দেয় রাসেল।
এক পর্যায়ে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর আহত করে। পরে এলাকাবাসী ঘাতক রাসেলকে গণধোলাই দেয়। পরে আহতদের রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুইজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার ও থানার ওসিসহ পুলিশের বিশেষ দল। পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে এক নারীকে হত্যার পর বিক্ষুব্ধ জনতার গণপিটুনিতে অভিযুক্ত যুবকও নিহত হন।
নিহতদের মরদেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, রাছেলের সাথে নাছরিন আক্তার পরকিয়া সম্পর্কের কিছু চলে আপত্তিকর ছবি রাসেলের মোবাইলে সংরক্ষিত ছিলো।
কয়েক মাস পূর্বে রাছেল তার ব্যবহৃত মোবাইলটি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। সেখান থেকে আপত্তিকর কিছু ছবি কয়েক মাস পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এ ঘটনা জের ধরে হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
Leave a Reply