শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫, ১১:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
খালি পেটে কখনো কোন কাজ করা ঠিক নয় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ: এনবিআর অচল, রপ্তানি কার্যক্রম ঝুঁকির মুখে একদিনে আরও ২৬২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১ জন ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালির ঝলমলে ক্যারিয়ারের আড়ালে লুকানো বিষাদের অধ্যায় মেজর লিগ ক্রিকেটে এবার নাটকীয়তার চূড়ান্ত, শেষ বলেই ছক্কা মেরে রুদ্ধশ্বাস জয়! রানওয়েতে কালো ভাল্লুক, বাতিল এক ডজন ফ্লাইট এনবিআরের শাটডাউন: সারা দেশে আমদানি-রপ্তানি ও শুল্ক-কর সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত একসঙ্গে কতটি কোয়েলের ডিম খাওয়া নিরাপদ? হিরো আলম ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে, ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ঘোষিত সময়ের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয়: সালাহউদ্দিন

মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়ার চেষ্টা বাদী সহ সহায়তাকারী জেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • Update Time : রবিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৬৯ Time View

মুন্সীগঞ্জ টঙ্গীবাড়ি উপজেলার যুগান্তর প্রতিনিধি সাংবাদিক আবু বাক্কার মাঝির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক ভাবে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগে মামলা দায়ের করায় মামলার বাদী ও সহায়তাকারীকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরন করেছে আলাদত।

আটককৃতরা হলেন সদর থানাধীন মিরকাদিমের হেলালের স্ত্রী খানসামা নাসিমা বেগম (৩৮) ও দিঘিরপারের ডেকোরেটর মালিক শিলই গ্রামের রহমান হালদারের ছেলে আলম হালদার (৪২)। তবে অপর আসামী টঙ্গীবাড়ি উপজেলার খাঁন বাড়ির সাত্তার খানের ছেলে সুমন খাঁন (৩২) পলাতক রয়েছে।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালে সাংবাদিক আবু বাক্কার সহ ৪জনকে আসামী করে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ দিয়ে পিটিশন মামলা নং ৩৪৬/২০ দায়ের করে নাসিমা বেগম।

 

পরবর্তীতে মামলাটি আদালত তদন্তের জন্য টঙ্গীবাড়ি উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীমা আক্তারের নিকট প্রেরন করে। তদন্ত কর্মকর্তা ৩০/১২/২০ইং তারিখ তদন্ত রিপোর্ট দেন যে, বাদীর (নাসিমা) মামলায় উল্লেখিত ঘটনাস্থল বালুর মাঠ বলা হলেও সেখানে কোন বালুর মাঠ নেই।

 

বাদীর ভাষ্যনুযায়ী বালুর মাঠের স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় উক্ত স্থানে উল্লেখিত তারিখ ও সময়ে কোন ধর্ষন চেষ্টা হয়নি। তাছারা ৪ জন বিবাদীর কেউ কাউকে চিনে না।

 

অভিযোগটি সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট। বাদীর পক্ষে কোন স্বাক্ষ পাওয়া যায়নি। বাদীও উপস্থিত হয়নি। তিনি আরো জানান, হয়রানীর দায় বাদী নাসিমা দায় এড়াতে পারে না।

 

এজাতীয় কার্যকলাপের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বাদীর উপস্থিতির জন্য দিন ধার্য্য থাকলেও বাদী নাসিমা আদালতে হাজির হয়নি।

 

পরবর্তীতে নাসিমার দায়েরকৃত মামলার আসামী সদর থানার মূলচরের আল-আমিন বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল মুন্সীগঞ্জে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করিলে আদালত শুনানীয়ান্তে মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়ের ও সহায়তার দায়ে নাসিমা, আলম ও সুমন খাঁনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন।

 

নাসিমার মামলায় ফিরিস্তি যোগে দাখিলকৃত ডাক্তারি চিকিৎসাপত্র দাতা প্যরামেডিকেল জুয়েল জানান, আমি নাসিমা নামক কোন মহিলাকে চিকিৎসা করিনি।

 

চিকিৎসাপত্রের লিখাও আমার হাতের নয়। তবে পেইডটা আলম নামক ব্যাক্তি আমার ফার্মেসী থেকে নিয়েছে। আলম ইতিপূর্বে তার সহিত স্থানীয়দের সাথে বিরোধ দেখা দিলেই তার ডেকোরেটরে কাজ করা নারীদের কৌশলে শারীরিক মিলন করে অর্থের বিনিময়ে তাদের ব্যবহার করে ধর্ষন মামলা দিয়ে নিরিহ অনেকেই জেলে ডুকিয়েছেন।

 

নাসিমা আলমের ডেকোরেটরে খানসামার কাজ করে। সুমন খানঁ একাধিকবার প্রতারনা সহ বিভিন্ন অপরাধের মামলায় জেল হাজতে থাকায় ব্যক্তিগত বিরোধের কারনে নাসিমা বেগমকে ব্যবহার করে নাসিমা বেগমের দ্বারা দায়েরকৃত পিটিশন মামলাটি তদন্ত শেষ না হতেই টঙ্গীবাড়ি প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক সাংবাদিক আবু বাক্কার মাঝির সম্মান, সুনামহানীর চেষ্টায় তার ছবি ব্যবহার করে ধর্ষক সহ বিভিন্ন অশ্লিল মানহানী কর বক্তব্য ব্যবহার করে বিভিন্ন পত্রিকায় অনলাইনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে ও অন্যাদের দিয়েও করায়।

শনিবার দিবাগত রাতে সদর থানা পুলিশ কোর্টের পরোয়ানামূলে নাসিমা ও আলমকে গ্রেফতার করে রবিবার আদালতে প্রেরন করলে আদালত উভয়কে জেল হাজতে প্রেরনের আদেশ দেন।

সাংবাদিককে হেনস্তা করার জন্য মিথ্যা ধর্ষন চেষ্টা অভিযোগে মামলা দায়ের করায় মুন্সীগঞ্জ জেলার সিনিয়ন সাংবাদিকগন সহ প্রতিটি উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নিন্দা জানিয়ে অপরাধীদের শাস্তির দাবী করেছেন।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense