সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ০২:১২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
খালি পেটে কখনো কোন কাজ করা ঠিক নয় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ: এনবিআর অচল, রপ্তানি কার্যক্রম ঝুঁকির মুখে একদিনে আরও ২৬২ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১ জন ‘কাঁটা লাগা গার্ল’ শেফালির ঝলমলে ক্যারিয়ারের আড়ালে লুকানো বিষাদের অধ্যায় মেজর লিগ ক্রিকেটে এবার নাটকীয়তার চূড়ান্ত, শেষ বলেই ছক্কা মেরে রুদ্ধশ্বাস জয়! রানওয়েতে কালো ভাল্লুক, বাতিল এক ডজন ফ্লাইট এনবিআরের শাটডাউন: সারা দেশে আমদানি-রপ্তানি ও শুল্ক-কর সংক্রান্ত সব কার্যক্রম স্থগিত একসঙ্গে কতটি কোয়েলের ডিম খাওয়া নিরাপদ? হিরো আলম ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে, ২৪ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে ঘোষিত সময়ের মধ্যে স্থানীয় নির্বাচন সম্ভব নয়: সালাহউদ্দিন

পাগলায় প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা শাহআলম-সুমন দাসের মীমাংসা

বিশেষ প্রতিনিধি
  • Update Time : বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১
  • ৫৭৭ Time View

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় মানষিক প্রতিবন্ধী শিশু মেয়েকে গলায় দা ঠেকিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে নরপিশাচ আনোয়ার।

 

ধর্ষনের চেষ্টার বিষয়টি থানা পুলিশকে না জানিয়ে ধামাচাপা দিতে গোপনে মীমাংসা করার অভিযোগ উঠেছে মাদক ব্যবসায়ী শাহআলম ও ডিস সুমন দাসের বিরুদ্ধে।

 

রবিবার (৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২ ঘটিকার সময় কুতুবপুরের পাগলা স্টুডিও এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। প্রতিবন্ধী শিশু মেয়েটির বয়স ১০ বছর।

 

তার বাবা নেই। তার মা ছোট একটি চায়ের দোকান চালিয়ে তাদের জীবিকা উপার্জন করে। তার গ্রামের বাড়ী কাউয়ান্না থানাধীন বরিশাল জেলায়।

 

প্রতিবন্ধী শিশু মেয়ে ও তার পরিবার পাগলা স্টুডিও এলাকায় জমি ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বসবাস আসছেন বলেও জানাযায়। প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষনের চেষ্টাকারী প্রতিবেশী নরপিশাচ আনোয়ারের বয়স (৪৫) সে পাগলা স্টুডিও এলাকায় জমি ভাড়া নিয়ে থাকেন বলেও জানাযায়।

 

ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী শিশুর মা জানান, আমার মেয়ে মানষিক প্রতিবন্ধী। আমার মেয়েকে রবিবার দুপুরে রাস্তায় একা পেয়ে নরপিশাচ আনোয়ার জোরপূর্বক তার ঘরে নিয়ে গলায় দা ঠেকিয়ে ধর্ষনের চেষ্টা করে।

 

পরে আমার বড় মেয়ে ছোট মেয়েকে খোজাখুজি করে আনোয়ারের বাড়ীর পাশে গেলে তার ঘর থেকে চিৎকার চেচামেচির শব্দ শুনে আমার মেয়েকে আনোয়ারের ঘর থেকে উদ্ধার করে।

 

পরে আমার মেয়ের কাছথেকে শুনতে পায় আনোয়ার আমার প্রতিবন্ধী মেয়ের গলায় দা ঠেকিয়ে বলে যে “যদি চিৎকার করিস তাহলে তুকে জানেমেরে ফেলবো” এমতাবস্থায় আমি আমার ইজ্জৎ সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু না বলে মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে চলে যায়।

 

পরবর্তীতে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ঘটনার দিনের সন্ধ্যায় এলাকার শাহআলম ও সুমন দাস সহ অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন লোক আমাকে ডেকে নিয়ে যায় মাছ দুলালের বাড়ীর দ্বিতীয় তলায়।

 

সেখানে গোপনে বসে ধর্ষনের চেষ্টাকারী লম্পট আনোয়ারকে মারধর করে ঘটনার মীমাংসা করে দেন শাহআলম ও সুমন দাস। এলাকার স্থানীয় ব্যক্তি আব্বাস বিন ইজ্জত আলী বলেন, একজন ১০ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষনের চেষ্টা করেও লম্পট আনোয়ার পাড় পেয়ে গেলেন।

 

সমাজের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা কিভাবে ধর্ষনের চেষ্টার বিচার করার অধিকার রাখেন, বিষয়টি আমার মাথায় আসে না। আমি পুলিশ প্রশাসনকে বলবো এইসব ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।

 

এ বিষয়ে ধর্ষনের চেষ্টার মীমাংসাকারী সুমন দাসের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মীমাংসার কথা স্বীকার করে বলেন, মেয়েটি প্রতিবন্ধী, তাকে রাস্তায় একা পেয়ে আনোয়ার তার বুকে হাত দিছে।

 

তার জন্য তকে ইচ্ছামত বাইরানী হয়েছে। ধর্ষনের চেষ্টা বা ধর্ষনের মীমাংসা করার এখতিয়ার তাদের আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এইটাতু ধর্ষণ না।

 

তেমন কিছু হইলে আমি আপনাদেরকে ফোন দিতাম। পুলিশ প্রশাসনকে জানান নাই কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এমনভাবে মারছি যাতে আর কারও দিকে চোখ তুলে তাকাতে না পারে।

 

এবং তার উপযুক্ত বিচার আমরা করে দিয়েছি। আনোয়ারের কাছ থেকে টাকা খেয়ে মীমাংসা করেছেন কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই কথাটি সম্পুর্ণ মিথ্যা।

 

আমার জীবনে আমি কোনো চান্ধাবাজী ধান্ধাবাজী করি নাই। আর এই বিষয়টি যেহেতু নিজেদের মধ্যে মীমাংসা হয়েগেছে সেটা নিয়ে আর কিছু থাকে না বলেও তিনি জানান।

 

এ বিষয়ে আরেক মীমাংসাকারী শাহআলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমিতো আতকা গেছি সেখানে পরে আমারে কয় এই অবস্থা পরে বিচার অইছে, ইচ্ছামতো মারা অইছে আনোয়াররে।

 

ধর্ষণের চেষ্টা বা ধর্ষণের মীমাংসা করার এখতিয়ার আছে কিনা তাদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনের বিষয়ে আমি জানি না।

 

আর প্রশাসনকে না জানানো আমাদের ভুল অইছে। সুমন দাস আমারে হঠাৎ ফোন দিসে, আমি হঠাৎ গেছি, কিন্তু প্রতিবন্ধী শিশু মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টাকারী আনোয়ারকে ইচ্ছামত মারছি।

 

আর এইসব বিষয়ে সুমন দাস সব জানেন তাকে ফোন দেওয়ার কথা বলেও তিনি কল কেটে দেন। এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান বলেন, এসকল বিষয়ে তো আপোষ-মিমাংশা করা যায় না।

 

যদি কেউ অভিযোগ না করে তাহলে আমরা কি করবো। মেয়েটির বাবা নেই,মা একজন চা দোকানী সে কিভাবে আসবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,ঐ মহিলার পক্ষে আপনি মামলা দেন।

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Adsense